দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুপ্তধন মানুষকে মরিয়া করে তোলে। তাইতো হারানো গুপ্তধনের খোঁজে অনেকেই চষে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে।
অনেকেই আবার সেই গুপ্তধন পেয়েও যান। আবার অনেকেই সারাজীবন গুপ্তধনের খোঁজে জীবন পর্যন্ত শেষ করে দেন। এমনই এক গুপ্তধনের কাহিনী রয়েছে আজ। পেশায় ডুবুরি মার্কিন নাগরিক টমি জি. থম্পসনের নেশাও ছিলো গুপ্তধনের খোঁজ করা। হোক তা পানির নীচে কিংবা সমতলে।
থম্পসন গুপ্তধন খোঁজার জন্য সাউথ ক্যারোলাইনা সাগরে বহুদিন আগে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজের খোঁজে সমুদ্রের তলদেশ চষে বেড়ান। অনেকেই চষে বেড়িয়েছেন এই সোনার খোঁজে। তবে সেই হারানো গুপ্তধন খুঁজে পেয়েছেন থম্পসন। সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে একেবারে তিন টন সোনা তুলে আনেন থম্পসন। তবে উদ্ধার করা এই সোনাই যেনো থম্পসনের কাল হলো। এই সোনার জন্য তাকে যেতে হলো কারাগারে। অভিযোগ, এই সোনা উদ্ধার অভিযানের পৃষ্ঠপোষকদের ঠকিয়ে সোনাগুলো একাই নিতে চেয়েছিলেন টমি জি. থম্পসন। শুধু তাই নয়, সেই সোনাগুলো কোথায় রয়েছে তা এখনও বলতে রাজি হননি থম্পসন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোনা উদ্ধার অভিযানের পৃষ্ঠপোষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওহাইও কারাগারে রাখা হয়েছে টমি জি. থম্পসনকে। যতোদিন না সোনার খোঁজ দেবেন, ততোদিন তাকে ওই কারাগারেই থাকতে হবে!
ওয়াশিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ১৮৫৭ সালে এক সামুদ্রিক ঝড়ে সাউথ ক্যারোলাইনা সাগরে ৪২৫ যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ ডুবে যায়। ওই জাহাজটিতে প্রায় তিন টন সোনা ছিল। তারপর ওই সোনা উদ্ধারের জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছেন। তবে কারও চেষ্টা সফল হয়নি। সবাই যখন হতাশ হয়ে পড়েন তখন গুপ্তধন খোঁজের নেশায় বিভোর হয়ে থম্পসন নেমে পড়েন। ডুবে যাওয়া ওই জাহাজটির বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতে কয়েক বছর সময় ব্যয় করেন থম্পসন। জাহাজের গতিপথসহ নানা তথ্য জেনে নেন। মোটামুটি গুপ্তধনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর থম্পসন খুঁজতে থাকেন পৃষ্ঠপোষক। কারণ হলো, এই সোনা উদ্ধারে ব্যয় হবে অনেক অর্থ। খুঁজতে খুঁজতে এক এক করে ১৬০ জন পৃষ্ঠপোষক জোগাড় করেন থম্পসন।
কিন্তু পুলিশ থম্পসনকে পিছু ছাড়েনি। তাকে আটক করে জানতে চাইছেন কোথায় রয়েছে সেই সোনা? আসলেও কী থম্পসন পেয়েছেন সেই তিন টন সোনা?