দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ খৃস্টাব্দ, ১৬ পৌষ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৩৮ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বাক্ষী- চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার ঐতিহাসিক ছুরুত বিবির মসজিদ।
চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পেরিয়ে সামান্য একটু দক্ষিণে গেলেই আমীর মোহাম্মদ চৌধুরীর বিশাল দীঘি। এটির স্থানীয় নাম আমীর খাঁ দীঘি। এই দীঘির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ঐতিহাসিক ছুরুত বিবি মসজিদ অবস্থিত। এই মসজিদ সংলগ্ন রয়েছে ছুরুত বিবির দীঘি। ছুরুত বিবি দীঘির পশ্চিমে, আমীর খাঁ দীঘির দক্ষিণে শেখ রাজার ভিটে নামে এক বসত ভিটারও পরিচয় পাওয়া যায়।
শেখ রাজা সম্পর্কে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ সংগৃহীত জনশ্রুতিতে জানা গিয়েছে, ১৫৭৫ সালে দূর্ভিক্ষ এবং মহামারিতে গৌড় রাজ্য ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
গৌড় রাজ্যের সেনাপতি শেখ মোহাম্মদ আদম গৌড়ী গৌড়রাজ্য ত্যাগ করে দেওয়ায় রাজ্যের অন্তর্গত শোলকাটা গ্রামে সপরিবারে বসতি স্থাপন করেন।
ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, রাখাইন মগ রাজত্বের সময় মাগন মুন্দার এক বড় জমিদার ছিলেন। ১০৫১ মঘী সনের এক “একরারনামা ” মূলে জানা যায় যে, আমীর মুহাম্মদ চৌধুরীর উপর জমিদারির ভার ছিলো। এই আমীর মুহাম্মদ চৌধুরীই আরাকান রাজসভার কবি আলাওলের কন্যা ছুরুতবিবি কিংবা শুক্কুর বিবিকে বিয়ে করেন। তাঁর নামেই এই ছুরুত বিবি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সঠিক দিন সাল জানা না গেলেও মোগল আমলে চট্টগ্রামের নবাব অলিবেগ খাঁ ‘র শাসনামলে (১৭১৩-১৭১৮) এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়েছে।
ছবি ও তথ্য: http://www.ctgbarta24.com/ এর সৌজন্যে।