দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদিতে অবস্থানরত যেসব অবৈধ বাংলাদেশী অবস্থান করছে, তাদের সেদেশে থাকার জন্য সৌদি বাদশা বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে।
অবৈধ সৌদি প্রবাসীদের দেশে ফেরত যাবার কিংবা লঘু জরিমানা অথবা সাধারণ ক্ষমা দিয়ে সৌদি আরবেই কাজ করার সুযোগ দেবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পূর্বে এ ধরনের সুযোগ ছিলো মাত্র ৩টি ধাপে। তবে ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ হতে তা দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয়েছে। এটি ১৭ এপ্রিল ২০১৭ পর্যন্ত চলবে।
যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ তাদের জন্যও এই সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগগুলো হলো:
# আপনারা যদি নিজ থেকে ধরা দেন তাহলে দেশে নাও পাঠাতে পারে।
# এমনও হতে পারেজেল/জরিমানা দিয়ে সে দেশেই আবার কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।
# এর অর্থ হলো অপরাধের জন্য যে জরিমানা কিংবা জেল দিতে হতো তা আর দিতে হবেনা।
# তবে আকামার ফী কিংবা অন্য সরকারি কোনো ফী যদি বকেয়া থাকে তাও দিতে হবেনা।
এখানে কিছু পন্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই পন্থা সকল অবৈধ প্রবাসীদের অবলম্বন করতে হবে।
১। যারা অবৈধ রয়েছে তাদেরকে জাওয়াদাত অফিস কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ধরা দিয়ে নিজের অপরাধের কথা শিকার করতে হবে ও বিমানের টিকিট কিনে টিকিটের ভেরিফাইট কপি জাওয়াদাত অথবা মকতবে আমেলকে দিতে হবে। যাতে করে প্রমাণ হয় যে আপনি সত্যিই টিকিট কিনেছেন।
২। আপনার কাছে আকামা/পাসপোর্ট কিংবা যে সকল কাগজপত্র রয়েছে তা দাখিল করতে হবে।
৩। সরকারী কোন ফী, যেমন: আকামার উপর গ্রামা কিংবা অন্য কোনো কারণে আপনাকে গ্রামা করা হয় তাহলে তা আপনাকে পরিশোধ করতে হবে।
৪। মকতবে আমেল এবং জাওয়াদাত অফিস হতে ভেরিফাইড করা কপিগুলো সংগ্রহ করতে হবে ও কফিলের আপনার উপর কোনো দাবি-দাওয়া নেই তার প্রমাণ দিতে হবে।
৫। আপনার মাওমালাতটি যাবে এমন একটি আদালতে, যাদের গঠন করা হয়েছে শুধুমাত্র অবৈধ প্রবাসীদের দেশে পাঠানোর জন্যই।
৬। এই আদালত হতে সকল ভেরিফাইড কাগজপত্র এবং মাওমালাত সংগ্রহ করতে হবে।
৭। কফিলকে জানানো হবে যে, আপনি নিজ দায়িত্বে ধরা দিয়েছেন ও আপনার সঙ্গে যদি কফিলের কোনো মাওমালাত থাকে তাহলে তা নিজেদের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে।
৮। আপনার কফিল যদি আপনার উপর জুলুম করে থাকে, তাহলে কফিলের আফসীর সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বলা যায় যে, সকল গ্রামা ও সরকারী ফী পরিশোধ করে, বিমানের টিকিট করে আপনি চলে যেতে পারেন।
কোনোরকম জেল/জরিমানা ছাড়াই।
কোনোরকম ব্ল্যাকলিষ্ট করবেনা সৌদি সরকার। যদি ধরা দিয়ে দেশে চলে যেতে চান তাইলে যে ক্ষমা যেভাবে করা হয়েছে তার অর্থ হলো আপনি চাইলে আবার নতুন ভিসা নিয়ে সৌদিতে প্রবেশও করতে পারবেন।