দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যমজ শিশু এমন অলৌকিক কাণ্ড দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ওই যমজ শিশুর কাহিনী!
আমরা জানি মায়ের গর্ভ হতে উপযুক্ত বয়সে কোনো শিশুর জন্ম হলে স্বাভাবিক অবস্থায় বেঁচে যেতে পারে- সেটিই স্বাভাবিক। তবে মাত্র ৫ মাসে কোনও শিশুর জন্ম হলে তার বেঁচে থাকার বিষয়টি প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। একমাত্র মিরাকেল অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা পারেন তাকে বাঁচাতে।
সেই ‘অসম্ভব’ সত্যিই সম্ভবে পরিণত করেছে যমজ দুই শিশু। দু’জনের মিলিত ওজন শুধু সোয়া এক কেজি। মাত্র ২৫ সপ্তাহ মায়ের গর্ভে থেকেই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে এই যমজ যুগল। বেঁচে যাওয়ার এই অলৌকিক বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো এই পৃথিবীর মানুষ।
মনের শক্তিকে পুঁজি করেই বিশ্বকে তাক লাগানো অলৌকিক এই যমজ শিশুদের নাম লুইস ও লোগান। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর স্কটল্যান্ডের কেনটাইর শহরের একটি হাসপাতালে জন্ম নেয় লুইস ও লোগান।
জন্ম হওয়ার খানিক পর চিকিৎসক বলেন, এই যমজ শিশু কিছু সময় বেঁচে থাকতে পারে। শিশুর মা ডেনলি সে কথা বিশ্বাসই করেননি। যমজ শিশু দুটিও মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়েছে সেকেন্ডের পর সেকেন্ড, মিনিটের পর মিনিট এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
অবশেষে চিকিৎসক ও ডেনলি মিলে প্লাস্টিক র্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এসব ঘটনায় শিশু মারা যাওয়ার হার প্রায় ১০০ শতাংশ বলা যায়। শিশু দুটিকে বাঁচিয়ে দিলো প্লাস্টিকের র্যাপিং এবং স্যান্ডুইচ ব্যাগ পদ্ধতি! প্লাস্টিকের র্যাপিং দিয়ে শিশু দুটিকে মোড়ানো হতো ও স্যান্ডুইচ ব্যাগের উপর তাদের রাখা হতো। এতে করে শিশু দুটির শরীর উষ্ণ থাকতো। সৌভাগ্যের ছোঁয়া বলেন বা অলৌকিক ঘটনায় বলেন, সত্যিই তারা বেঁচে যায়।
বেঁচে যাওয়ার কাহিনী বলেছেন শিশু দুটির দায়িত্বে থাকা নার্স লিন (৩৪)। তিনি বলেন, ‘ওরা যখন জন্ম নেয়, তাদের শরীর অনেকটা পানির মতো দেখা যাচ্ছিল। রক্ত, হাড়, শিরাগুলো দেখাই যাচ্ছিল। প্রথমে মনে করেছিলাম ওরা মনে হয় বেঁচে নেই। ওরা আসলেই মিরাকেল ঘটিয়েছে। আমরা ভাবতেই পারিনি যে, তারা এমন অলৌকিক সাধন করবে।’
ডেইলি মেইল এর খবরে বলা হয়েছে, ৪ সপ্তাহ পর ওই হাসপাতাল হতে তাদের রিলিজ দেওয়া হয়। বর্তমানে তাদের বয়স দুই বছর। এখন তারা শারীরিকভাবে একেবারে সুস্থ। স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছেন মায়ের অপার যত্নে।