দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন তরুণ শিক্ষার্থী তৈরি করেছে ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’। কৃত্রিম এই উপগ্রহটির মাধ্যমে বাংলাদেশ সফল যাত্রা শুরু করতে চলেছে মহাকাশের পথে!
জানা গেছে, গতকাল (বুধবার) জাপানের কিতাকিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি হতে নিজ শিক্ষার্থীদের তৈরি এই ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ গ্রহণ করেছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব। ন্যানো স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জাপানের কিতাকিউশু হতে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওইদিন সরাসরি দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সৈয়দ সাদ আন্দালিব বলেছেন, ‘এটি একটি ছোট্ট পদক্ষেপ হলেও অনেক বড় যাত্রার শুরু হলো। এই ন্যানো স্যাটেলাইট নির্মাণের মাধ্যমে প্রমাণ হলো বাংলাদেশও পারে নির্মাণ করতে।’
স্যাটেলাইটটির নকশা তৈরি, উপকরণ সংগ্রহ হতে শুরু করে তৈরির সব কাজই করেছেন ব্র্যাকের তিন তরুণ শিক্ষার্থী রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা, আবদুল্লা হিল কাফি এবং মাইসুন ইবনে মনোয়ার। এই তিন শিক্ষার্থী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় হতে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল (ইইই) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে জাপানের কেআইটিতে এখন স্নাতকোত্তর করছেন।
সংবাদ মাধ্যমকে এই প্রকল্পের প্রধান মো. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, মাত্র ১০ ইঞ্চির এই কৃত্রিম উপগ্রহটি যোগাযোগ এবং উন্নয়ন কাজে সাহায্য করবে। এটি পৃথিবী হতে ৪শ’ কিলোমিটার ওপরে থাকবে। ‘ব্র্যাক অন্বেষা’র পৃথিবীর চারপাশ প্রদক্ষিণ করে আসতে সময় লাগবে মাত্র ৯০ মিনিট। এটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দিনে ৪ হতে ৬ বার উড়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ন্যানো স্যাটেলাইট তৈরি বা উৎক্ষেপণের কাজ জাপানে হলেও বাংলাদেশ হতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনটি নির্মাণে কাজ করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর আরেক দল শিক্ষার্থী। এরা হলেন, মোজাম্মেল হক, সানন্দ জগতি, বিজয় তালুকদার এবং আইনুল হুদা চার শিক্ষার্থী।
এই চার শিক্ষার্থীর প্রশিক্ষণ হতে শুরু করে স্টেশন নির্মাণে সহায়তা করছে স্পারসো। স্টেশনটি হতে দিনে ৬ মিনিট ব্র্যাক অন্বেষার সংগ্রহ করা তথ্য নামানো সম্ভব হবে।
চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উদ্বোধন করতে চলেছে- একথা জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, এরপূর্বে এই ন্যানো স্যাটেলাইট নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সাফল্য বয়ে আনলো।