দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হিটলারের জন্মস্থান অস্ট্রিয়ার একটি শহর হলো ব্রাউনাউ আম ইন। এই শহরের একটি বাড়িতেই জন্ম হয়েছিলো হিটলারের। সম্প্রতি গুজব বেরিয়েছে ‘হিটলারকে নাকি দেখা গেছে’ সেখানে!
দ্য সান পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে সম্প্রতি হুবহু হিটলারের মতো দেখতে এক ব্যক্তিকে হিটলারের সেই জন্মস্থানের এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে! সেই ব্যক্তিরও হিটলারের মতোই গোঁফ, চুলের ছাঁট ও পোশাক! এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অস্ট্রিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এমনকি স্থানীয় এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুক পেইজে ওই ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানো একটি ছবিও প্রকাশ করে।
এদিকে হিটলারের মতো পোশাক পরা এক ব্যক্তি তার জন্মস্থানের আশপাশে ‘হিটলার’ সেজে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এমন খবর প্রকাশিত হওয়ায় তদন্ত শুরু করেছে অস্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে অস্ট্রিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও এক ব্যক্তি ‘হিটলার’ সেজে ঘুরে বেড়ানোর খবরটি নিশ্চিত করেছেন সংবাদ মাধ্যমকে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তির বয়স ২৫ হতে ৩০ বছর।
খবরে জানা যায়, শেষবার ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় বইয়ের দোকানগুলোতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংক্রান্ত সাময়িকীগুলো ঘাটাঘাটি করতে দেখা গেছে। এছাড়াও স্থানীয় পানশালায় তিনি নিজেকে ‘হ্যারল্ড হিটলার’ বলে পরিচয়ও নাকি দিয়েছেন!
হিটলার যে বাড়িতে ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন তার সামনে দাঁড়ানো হ্যারল্ড হিটলারের একটি ছবিও পাওয়া গেছে অনলাইনে। অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী হিটলার কিংবা নাৎসিদের মহামান্বিত করা একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
অস্ট্রিয়ায় যে বাড়িটিতে হিটলার জন্ম হয়েছিলো, সে বাড়িটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কও চলছে। অস্ট্রিয়ার সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে, হিটলার যে বাড়িতে জন্মেছিলেন সেই বাড়িটি তারা নিজেদের ‘দখলে’ নেবেন। অস্ট্রিয়া সরকার বলছে, বাড়িটি নাৎসী সমর্থকদের পীঠস্থান হয়ে ওঠা ঠেকাতেই তাদের এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হচ্ছে।
এই বাড়ি যেভাবে নব্য নাৎসীবাদীদের পূণ্যস্থান হয়ে উঠছে, তাতে করে উদ্বিগ্ন অস্ট্রিয়া সরকার বলছে গত বেশ কয়েক বছর ধরে তারা কীভাবে এর মোকাবেলা করা যায় তা বিবেচনা করছেন।
দেশটির সরকার ১৯৭২ সালে বাড়ির মালিকের নিকট হতে বাড়িটি ইজারা নেন। বহু বছর বাড়িটি প্রতিবন্ধীদের দেখাশোনার একটি কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছিলো।
গত ডিসেম্বরে অস্ট্রীয় পার্লামেন্ট ৩ তলা এই বাড়িটি কিনে নেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। বাড়িটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে অস্ট্রীয় সরকার ১৯৭২ সাল হতেই ভাড়া নিয়ে রেখেছে ওই বাড়িটি।