দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দৃশ্যটি হঠাৎ দেখে ছোট্ট একটি দ্বীপ মনে হতে পারে। চারিদিকে বিস্তৃত জলরাশি আর তার মাঝে সবুজ ঘাসে আবৃত চর। আজ রয়েছে এমন এক ভাসমান স্কুলের গল্প!
এমন একটি দ্বীপের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে টিনে ঘেরা একটি ঘর। আর সেটিই হলো একটি ভাসমান স্কুল। যেখানে ছোট ছোট শিশুরা লেখাপড়া করছে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতেই মূলত এমন ঘর নির্মাণ করা হয়ে থাকে। তবে এমন একটি পরিবেশে গড়ে উঠেছে একটি স্কুল।
এই ভাসমান স্কুলে লোখাপড়া করে এলাকার দরিদ্র শিশুরা। কোনো খরচ ছাড়াই এখানে পড়ালেখা করানো হয়। এমন অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ভাসমান স্কুলটি ভারতের মনিপুরী রাজ্যের ফুমিডিস এলাকায় অবস্থিত।
ওই রাজ্যের ফুমিডিস এলাকাটি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে থাকে বছরের বেশিরভাগ সময়। সে কারণে কয়েক’শ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। তাদের সন্তানদের জন্যই মূলত তৈরি করা হয়েছে এই ভাসমান স্কুলটি।
অত্র এলাকার অধিকাংশ মানুষই পেশায় মৎস্যজীবী। তবে বন্যার কারণে তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। যে কারণে ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে তাদের জন্য ৷ এমন অবস্থায় ছোট শিশুদের কর্মজীবীর ভূমিকায় নেমে পড়তে হয়। তাই সাংসারিক গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে কোমলমতি শিশুদের ওপরে। এদের আলোর পথ দেখাচ্ছে দুটি এনজিও। স্থানীয় মৎস্যজীবী ইউনিয়নের চেষ্টায় গড়ে উঠেছে এই স্কুলটি।
জানা গেছে, বর্তমানে এই ভাসমান স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫। বয়সের ফারাক থাকলেও সবাই একসঙ্গে ক্লাস করে এরা। আপাতত এই বিদ্যালয়টি প্রাথমিক হলেও দ্রুতই অষ্টম শ্রেণীতে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছে এই স্কুল কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই স্কুলের মাধ্যমে আলো ছড়িয়ে পড়বে শিশুদের মধ্যে।