দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগেও আমরা খবর দেখেছি মোবাইল জীবাণু ছড়ানোর একটি বাহন। সেই সূত্র ধরে এবার পাওয়া গেছে ৩টি নতুন জীবাণুর খোঁজ। তবে এই জীবাণু নাকি মানুষের উপকার করে!
ইন্টারনেট, ব্লুটুথ কিংবা কোনও ফাইল শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে নয়, সরাসরি হাতে হাতে ছড়াচ্ছে এই জীবাণু। সারাদিন আমরা যে মোবাইল ঘাঁটছি অজান্তেই তা হতে সেইসব জীবাণু ছড়াচ্ছে। এমনই ৩টি নতুন জীবাণুর সন্ধান পেয়েছেন পুণের এনসিসিএস (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেল সায়েন্স)-র একদল বিজ্ঞানী। তবে এইসব জীবাণু আদৌ ক্ষতিকারক নয় বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ইউনিভার্সিটি অব সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার মলিকিউলার মাইক্রোবাইলোজি এবং ইমিউনোলজি বিভাগের প্রফেসর উইলিয়াম দেপাওলো-র ধারণা, টয়লেট পেপারের থেকেও অনেক বেশি জীবাণু থাকে মোবাইলের গায়ে।
২০১৫ সালে তাঁর একটি গবেষণাপত্রে দেপাওলো জানাচ্ছে যে, টয়লেট পেপারে সাধারণত ৩ ধরনের ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়। তবে মোবাইলের গায়ে আরও অধীক প্রায় ১০-১২ ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক মিলেছে। তবে এই মোবাইলের গায়ে মিশে থাকা জীবাণুর মধ্যে নতুন দু’টি ব্যাকটেরিয়া ও একটি ছত্রাককে সনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন পুণের এনসিসিএসের বিজ্ঞানীগণ।
এ সব জীবাণু কীভাবে ছড়াচ্ছে
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মোবাইল এমন একটা বস্তু যেটি সারাদিন রান্নাঘর হতে টয়লেট পর্যন্ত আমাদের হাতে ঘোরাফেরা করতে থাকে। এই মোবাইলের সঙ্গে মিশে যায় আমাদের শরীরের ঘাম ও ময়লা। যে কারণে দিব্যি খেয়ে বেঁচে পরে রয়েছে এইসব জীবাণুরা!
বিজ্ঞানী জোগেস এস সাউচ ও তাঁর দল ২৭টি মোবাইল হতে জীবাণু সংগ্রহ করেছেন। এই মোবাইলগুলি হতে ৫১৫টি ব্যাকটেরিয়া এবং ২৮টি ছত্রাকের সন্ধান পান তাঁরা। তবে এসব জীবাণু মানুষের বন্ধু মনে করছেন এনসিসিএসের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর প্রদীপ রাহি!
তাহলে এই জীবাণু আমাদের কী উপকার করে ?
প্রফেসর প্রদীপ রাহি বলেছেন, “এই ৩ ধরনের জীবাণু অনেকটা ডলফিনের মতো। মানুষের কাছে থাকতে ভালোবাসে। নাকের ভিতর বা রেটিনায় থাকা ধুলো-বালি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এরা! “