দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুয়াতেমালায় এক সরকারি মেয়ে শিশুআশ্রমে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১৯ জন কিশোরী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারার উদ্বৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গুয়াতেমালায় এক সরকারি মেয়ে শিশুআশ্রমে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১৯ জন কিশোরী নিহত হয়েছেন। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হলো তা এখনও জানতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পুলিশ বলছে, আশ্রমের বাসিন্দাদের কেও হয়তো আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ভবনের বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের একজনও সেরকমই জানিয়েছেন।
এর পূর্বে গত মঙ্গলবার ওই আশ্রমটিতে দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেসময় আশ্রমের ভেতরে শিশুদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগও শোনা যায়। সাংবাদিকদের কাছে আশ্রমের ছোট ছোট বাসিন্দারা অভিযোগ করে তাদের নিয়মিত মারধোর ও যৌন নিপীড়ন করা হতো।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই দাঙ্গায় প্রায় ৬০ জন শিশু আশ্রম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া শিশুদের কেও কেও বলেছে, দাঙ্গার পর আশ্রমে কর্তৃপক্ষের হুমকি এবং শাস্তির ভয়ে পালিয়েছে তারা।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নির্যাতন ও পাচারের শিকার, এবং পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য তৈরি এই আশ্রমটির নিয়ম হলো ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত থাকতে পারে একজন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আশ্রমটিকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হতো।
উল্লেখ্য, গুয়াতেমালা সিটির দক্ষিণ-পূর্ব শহর সান হোসে পিনুলার এই সরকারি আশ্রমটির ধারণ ক্ষমতা ৪০০ হলেও, গত বছর সেখানে প্রায় ৭০০ মেয়ে শিশু এবং কিশোরী ছিল।