দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি মুরগী প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১১৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫৪ জন। নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কারখানাটিতে মুরগির মাংস প্রক্রিয়াজাত করা হতো। কারখানার কয়েকটি বহির্গমণ পথ বন্ধ থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানায়, গতকাল সোমবার সকালে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কারখানার কসাইখানাটিতে আগুন নিভিয়ে ফেলার পর মৃতদেহ উদ্ধার শুরু হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। কিন্তু স্থানীয় দমকল বহিনীর সূত্রগুলো বলছে, কারখানাটির ভেতরে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো সূত্র থেকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কথাও বলছে। অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা বলেছেন, ভোরে কারখানার মূল ফটক বন্ধ ছিল। তবে আগুন লাগার পর শ’খানেক কর্মী বিভিন্নভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। উদ্ধারকর্মীরা জানান, কারখানা ভবনটির নির্মাণ কাঠামো অত্যন্ত জটিল এবং বের হওয়ার পথ সংকীর্ণ হওয়ায় আগুন নেভাতে প্রায় ছয় ঘণ্টা সময় লাগে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ভেতরে কত লোক কাজ করছিল এখন পর্যন্ত সেটাও জানা যায়নি। তবে বেঁচে আসা একজন জানিয়েছেন, ৩শ’ লোকের মতো কাজ করছিল। একজন শ্রমিক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলছেন, আগুন লাগার পর কারখানাটির ভেতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা তখন বাইরে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।
উল্লেখ্য, রাজধানী বেইজিং থেকে ৫০০ মাইল দূরে এই কারাখানাটিতে প্রায় ১২শ শ্রমিক কাজ করতো বলে জানা গেছে। প্রতি বছর এখান থেকে ৬ লাখ ৭ হাজার টন মুরগির মাংস প্রক্রিয়াজাত করার পর বাজারে ছাড়া হতো। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।