দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জিয়া খান মাত্র ১৮ বছর বয়সে ‘নিঃশব্দ’ ছবিতে বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে সবার নজর কেড়েছিলেন। ছবিতে সাবলীল অভিনয় এবং হট টিনেজার লুকের মাধ্যমে সমালোচক এবং দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই অভিনেত্রী এখন সকল সমালোচনা এবং প্রশংসার উর্দ্ধে কারণ গতকাল রাতে আত্মহত্যা করেছেন জিয়া খান।
জিয়া খানের আসল নাম নাফিসা খান। জন্মেছিলেন ইংল্যান্ডে এবং বড়ও হয়েছিলেন সেখানে। কিছুদিন পূর্বে তার মা রাবিয়া আমিনের সাথে মুম্বাইতে বসবাস করতে চলে আসেন। তিনি অভিনয় আর সেক্সি ইমেজের মাধ্যমে খুব দ্রুতই জায়গা করেছিলেন বলিউডে। অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যে তিনি তার ‘জুহু’ নামক বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন গতকাল রাত ১১ টার দিকে এবং তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার লাশ পোস্টমর্টেম করার জন্য কুপার হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, আত্মহত্যার মোটিভ সম্পর্কে কোন ধারণা এখন পর্যন্ত পুলিশ করতে পারেনি। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানা যায়, কিছুদিন যাবত জিয়া খান ব্যক্তিগত কারণে খুব হতাশ এবং বিষণ্ণ ছিলেন। যদিও তার খুব শীঘ্রই অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছে ছিলো প্রবল এমনকি একাধিক মুভিমেকারের সাথে মিটিংও করেছেন।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পরেই বলিউড পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগের সাইট টুইটারে দিয়া মির্জা লিখেন, ‘রেস্ট ইন পিস নাফিসা খান ( জিয়া খান )| তুমি অনেক তরুণী এবং সুন্দরী ছিলে।’
বিখ্যাত পরিচালক রাম গোপাল ভার্মা পরিচালিত ‘নিঃশব্দ’ ছবির মাধ্যমেই দর্শকদের নজরে আসেন জিয়া খান এবং একই সাথে মিস্টার পারফেকশনিস্ট অভিনেতা হিসেবে খ্যাত আমির খানের সুনজরেও পড়েন জিয়া। যার ফলশ্রুতিতে সুযোগ পান ‘গজনী’র মতো সুপারহিট ছবিতে অভিনয়ের। ছবিটিতে ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের মন এক নিমেষেই জয় করেছিলেন তিনি। এরপর জিয়াকে আবার দেখা গেছে ব্লকবাস্টার হিট ছবি ‘হাউসফুল’ এ অক্ষয় কুমারের বিপরীতে, এ ছবিতে তিনি লারা দত্ত, দীপিকা আর রীতেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছিলেন। জানা গেছে, মৃত্যুর পূর্বে তিনি ইউটিভি মোশন পিকচারের সাথে দুইটি এবং ‘গজনী’ প্রযোজকের সাথে তিনটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্রঃ মিডিয়া ২৪৭