দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার নিউ ইয়র্কে এক ব্যতিক্রমি প্রতিযোগিতার আয়োজন হলো। সেখানে গোটা আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত হতে দুর্গন্ধযুক্ত জুতা নিয়ে হাজির হন প্রতিযোগিরা!
জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার বাছাই শেষে সেখানে হাজির হলেন ৭ জন তরুণ প্রতিযোগী। । সেখানে তারা হাজির হয়েছে যার যার সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত জুতা জোড়া নিয়ে। এই প্রতিযোগিতার নাম হলো ‘৪২তম জাতীয় দুর্গন্ধযুক্ত স্নিকার প্রতিযোগিতা’।
বলা হয়েছে যে, পরিষ্কার ও যত্নআত্তি ছাড়া স্নিকার পরতে পরতে যারা একেবারে দারুণ দুর্গন্ধপূর্ণ বানিয়ে ফেলেছেন, মূলত তারাই এসেছেন এখানে। যার জুতায় যত বাজে গন্ধ হবে, সেই হবে সবার সেরা প্রতিযোগী! এই প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন ১২ বছর বয়সী কনোর স্লোকম্বি নামে একজন। স্বাভাবিকভাবেই তার জুতার গন্ধে প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়েছিলো বিচারকদের!
এই বিচারকার্য যেনতেনভাবে সম্পন্ন হয় না। তিন স্তরের বিচারকার্যে উৎরে যেতে হয় প্রতিযোগিদের। সেখানে চার জন বিচারক ছিলেন। টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন সবাই আমেরিকার সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত জুতা দেখার জন্য। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় রিপলেস বিলিভ ইট অর নট-এ।
চার বিচারকের একজন হলেন জর্জ আলড্রিচ। তিনি বলেন, জুতায় একেবারে যাচ্ছেতাই গন্ধ সৃষ্টিতে সমর্থ হয়েছেন স্লোকম্বি। তার জুতার গন্ধে যেকোনো মানুষের নাক বন্ধ হয়ে যাবে ও চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসবে তাতে কেনো সন্দেহ নেই। এই জুতা যদি আপনার নাকের কাছে নেওয়া যায় নিশ্চিত আপনি মুর্ছা যাবেন!
এই বিদঘুটে গন্ধ সৃষ্টির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জর্জ মোজা ছাড়াই জুতা পরতেন। কাদা-মাটিতে তার চলাচল ছিল বেশি। প্রতিযোগিদের অনেকেই আলাস্কা, কলোরাডো, নিউ ম্যাক্সিকো আর ইলিনয়েস হতে হাজির হয়েছেন নিউ ইয়র্কে।
পরে সাংবাদিকদের স্লোকম্বি বলেছেন, আমার আন্টির একটি ফার্ম রয়েছে। আমি মাঝে-মধ্যে সেখানে কাজ করি। গবাদিপশুর ফার্ম। সেখানে ওরা মল ত্যাগ করলে আমি তার মধ্যদিয়ে হেঁটে যেতাম। মাছ ধরতে যেতাম আর মাঝে-মধ্যেই সেখানে থাকতাম।
পুরস্কারস্বরূপ নগদ আড়াই হাজার ডলার ও ব্রডওয়ে শো টিকেটস পেয়েছেন জর্জ। তাছাড়া সে স্থান করে নিয়েছেন ওডোর ইটার্স হল অব ফিউমস-এ।
উল্লেখ্য, এই অদ্ভুত প্রতিযোগিতার প্রচলন করেছেন ভারমন্টের এক ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রেতা। ১৯৭৪ সাল হতে আয়োজিত হয়ে আসছে এই উদ্ভট প্রতিযোগিতা। এর মাধ্যমে মূলত স্নিকার্সের প্রমোট করা হয়। পায়ের যত্নআত্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওডোর-ইটার্স ১৯৮৮ সাল হতে এই প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল স্পন্সর হিসেবে কাজ করছেন।