দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করেই সিটিং সার্ভিস উঠিয়ে দিয়ে পুরো রাজধানীর বাস সার্ভিস লোকাল করা হয়েছে। যাত্রীরা ভেবেছিলো এখন ভাড়া কমবে। কিন্তু তাতো হয়নি বরং লাভবান হয়েছে মালিক-শ্রমিক ও পকেটমাররা!
কি লাভ হলো লোকাল করে? ভাড়া আরও বাড়লো। কারণ আগে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিলো ৫ টাকা, এখন করা হয়েছে ৭ টাকা। অর্থাৎ আগে গাড়িতে উঠে যাত্রীরা খুব কম দূরত্বে গেলে ৫ টাকা ভাড়া দিতো ,এখন থেকে দিতে হবে ৭ টাকা। অর্থাৎ গাড়িতে উঠলেই ৭ টাকা!
একটি এলাকার কথা বলি, ফার্মগেট থেকে আগে শাহবাগ গেলে লোকাল গাড়িতে ভাড়া দিতে হতো ৫ টাকা। এখন দিতে হবে ৭ টাকা। অর্থাৎ লোকাল করে ভাড়া বেড়েছে। আগে ফার্মগেট হতে মতিঝিলে সিটিং সার্ভিসে ফ্যানের বাতাস খেতে খেতে একজন যাত্রী ভাড়া দিতো ১০ টাকা। এখন মানুষের ঠেলাঠেলি খেয়ে তাকে দিতে হবে ৯ টাকা। যেহেতু এক টাকার প্রচলন প্রায় উঠে গেছে তাই তাকে ওই ১০ টাকায় দিতে হবে!
তাহলে এবার ভাবুন লোকাল করে কার লাভ হলো আর কার ক্ষতি হলো। এভাবে প্রায় প্রতিটি রুটেই ভাড়া আগেরই আছে, অথচ জনগণকে ভিড় ঠেলে দাঁড়িয়ে পকেট মারের দৌরাত্ম পার করে যাতায়াত করতে হবে!
লাভ হয়েছে মাত্র কয়েকটি রুটে। যেমন ক্যান্টনমেন্ট ফ্লাইওভারের ওপার থেকে শ্যাওড়া অথবা রেডিসনের কাছ থেকে আগে সিটিং সার্ভিসে উঠে ইসিবি চত্বর নামলেও (মিরপুর-১ নম্বর পর্যন্ত ভাড়া) ২৫ টাকা আদায় করা হতো। এখন তাদের ৭ টাকা দিলেই চলবে। তাছাড়া প্রতিটি রুটে বাসের ভাড়াতো কমেই নি বরং জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে।
মালিকদের লাভবান হওয়ার কথা এজন্য বলা হচ্ছে। আগে তারা ৪০-৪৫ জন যাত্রী নিতেন এখন তার ডবলেরও বেশি যাত্রী নেবেন। অর্থাৎ তাদের আয় হবে দ্বিগুণ! তাহলে সরকার কোনো ভাবনা চিন্তা না করে, বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ না করে বিশেষ করে জনাব ওবায়দুল কাদেরের মতো একজন জনপ্রিয় মন্ত্রীর দ্বারা জনগণের এই হাল কখনও কেও চিন্তাও করেননি।
উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে ঘোষণা করেন রাজধানীতে কোনো সিটিং সার্ভিস থাকবে না। তাঁর ঘোষণার দু’দিন যেতে না যেতেই ১৬ এপ্রিল থেকে সব সার্ভিস লোকাল করা হয়। যা নিয়ে গত দু’দিন ধরে বাস কন্ট্রাক্টর ও যাত্রীদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে। কিছু কিছু স্থানে যাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতির মতো ঘটনাও নাকি ঘটেছে!