দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রতিবাদ করলেও অরুণাচল প্রদেশের ছয়টি জায়গার নাম চীনারা পালটে দেওয়ায় তেমন চিন্তিত নন দালাইলামা। তাঁর মতে, চীনারা তিব্বতি নাম ঠিক ঠিক উচ্চারণ করতে পর্যন্ত পারে না। এক্ষেত্রেও ঠিক তা-ই ঘটেছে। এ বিষয়টি অত গুরুত্ব দেওয়াও উচিত নয়।
এপ্রিল মাসে টানা ৯ দিনের জন্য অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সফরে যান দলাইলামা। তা নিয়ে চীন অসন্তোষও প্রকাশ করেছে। ২০০৯ সালেও দালাইলামার অরুণাচল সফর নিয়ে তারা একই কাণ্ড করেছিল। এর পরেই জানা যায়, চীনা মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের ছয়টি জায়গার নাম রাতারাতি পালটে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি স্থানেই তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ধর্মশালায় নির্বাসিত তিব্বতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন, বেজিংয়ের পদক্ষেপ চীনা হান আগ্রাসী নীতিরই একটি প্রতিফলন। সেই তুলনায় এই বিষয়ে দিল্লিতে দালাইলামার প্রতিক্রিয়া অনেক সংযত ছিল।
জানা যায়, দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে দালাইলামাকে অধ্যাপক এমএল সোঁধি ২০১৬ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাজপেয়ি মন্ত্রিসভার সদস্য, স্বনামধন্য সাংবাদিক অরুণ শৌরি।
সেই অনুষ্ঠানে দালাইলামা বলেন, ভারত কোনো নগণ্য দেশ নয়, তার উপর সামরিক শক্তিতে ভারত এখন যথেষ্ট বলীয়ানও। ভারতের এই শক্তিকে চীনের অবশ্যই সমীহ করা উচিত। ভারতের সঙ্গে মোকাবিলার চাইতে চীনকে আগে তিব্বতের অভ্যন্তরীণ অবস্থা নিয়ে বেশি ভাবতে হবে। তিব্বতের স্বশাসনের অধিকারকেও মানতে হবে।