দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশি এক যৌনকর্মী টুইট করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে। বিষয়টি বর্তমানে সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের এই মেয়ে কাজ করতেন একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। তিনি বেতন পেতেন ৯ হাজার টাকা। এই টাকায় বাবা-মাকে নিয়ে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছিলেন। এমন সময় তারই এক সহকর্মী তাকে ১৫ হাজার টাকায় ভারতে কাজ করার অফার দিলেন।
ঠিক এভাবেই ফাঁদে পড়ে যান বাংলাদেশি ওই পোশাককর্মী। ভারতে নিয়ে গিয়ে তাকে বাধ্য করা হয় যৌনকর্মী হিসেবে। তবে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে। দেশে ফেরার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন এই নির্যাতিত নারী। সেখানে তিনি হাতে লেখা একটি চিঠির ছবি প্রকাশ করেন।
চিঠিতে ওই নারী বলেন, তার কাছে ১০ হাজার রুপি সমপরিমাণের বাতিল নোট রয়েছে। ওই অর্থ তিনি যৌনকর্মের মাধ্যমে আয় করেছেন। ওই বাতিল নোটগুলো বদলে নতুন নোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মোদির কাছে। নোটগুলো যৌনপল্লীর মালিকদের কাছে ছিল বলে পরিবর্তন করতে পারেননি তিনি।
ভারতে নিজের দুর্বিষহ জীবনের মর্মস্পর্ষি বর্ণনা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের ওই নারী বলেছেন, ‘আমার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না, আমি রাজি হই ভারতের গিয়ে চাকরি করার জন্য। এরপর আমাকে মুম্বাইয়ের ভাশি নদী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেখানে আমাকে ৫০ হাজার রুপির বিনিময়ে এক নেপালি নারীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।’
ওই নারী আরও বলেছেন, ‘পরে তাকে সেখান থেকে ব্যাঙ্গালুরু শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে জোরপূর্বক যৌনকর্ম করতে বাধ্য করা হয়।’
প্রায় দেড় বছর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে একটি উদ্ধারকারী সংগঠন মুক্ত করে ওই বাংলাদেশি নির্যাতিত নারীকে। তবে তার সব জিনিসপত্র এবং অর্থ থেকে যায় ওই যৌনপল্লীতেই।