দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন বা ট্যাব ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো বিষয় নয়। এতে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে চাপ পড়ছে বুড়ো আঙুলে? সেদিকে একেবারেই নজর নেই আপনার! এবার নজর ফেরাতেই হবে আপনাকে, নয়তো অকেজো হয়ে যেতে পারে আপনার বুড়ো আঙুল ও এমনকি আপনার হাতও।
অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে অনেকেই কব্জিতে ব্যথা অনুভব করেন। আবার মাঝে-মধ্যেই তা হয়ে যায় অসহ্য যন্ত্রণার কারণ। টাচ স্ক্রিণে আপনার হাতের অতিরিক্ত ব্যবহার, সেইসঙ্গে অত্যধিক মেসেজিং থেকে এই রোগের উৎপত্তি ঘটতে পারে।
স্পেনে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা ১৩০ গ্রামের মোবাইল ফোনে দিনে প্রায় ৬ ঘণ্টা মেসেজিং, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জার ব্যবহার করেন, তাদের কব্জিতে অনবরত ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটাকেই বলে ‘হোয়াটসঅ্যাপাইটিস’ যা ধীরে ধীরে ‘কারপাল টানেল সিনড্রোমে’ও পরিণত হতে পারে।
সে কারণে সাধারণত কব্জি-সন্ধিতে ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ হতে পারে। এছাড়া বেশি সময় কাজ করতে না পারা, হাতের পেশিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া, হাত অসাড় মনে হওয়ার মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়। পাশাপাশি রাতে ব্যথা বাড়া, হাত শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা হাতে শক্তি না পাওয়া- এসব সমস্যাও দেখা যায়।
নার্ভ আক্রান্ত হওয়ার কারণে হাতের আঙুল, কব্জিতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জার ব্যবহার করার জন্য ক্রমাগত আঙুল নাড়ানো বন্ধ না করলে অকেজো হয়ে যেতে পারে আপনার হাতের বুড়ো আঙুলটি।
যার যে হাতটি বেশি চলে, সেই হাতের আঙুলের রং গোলাপিও হয়ে যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলেছে, স্মার্টফোনের ওজনের ওপর নির্ভর করে হাতের আঙুলের অবস্থা কেমন হবে।
তারা বলেছেন, দিন দিন স্মার্টফোনের আকার বাড়ছেই। যে কারণে বুড়ো আঙুলকে অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হচ্ছে মেসেজ করার ক্ষেত্রে। এতে বুড়ো আঙুল এবং তর্জনীর ওপর খুব বেশি চাপ পড়ছে।
এভাবে ব্যথা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যেতে পারে আপনার হাত। তাই সময় থাকতে সংযোত হোন। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।