দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ চীন সাগরের তলদেশে প্রাপ্ত বরফ-সদৃশ বস্তু হতে এই প্রথমবারের মতো গ্যাস উৎপাদন করতে পেরেছে চীন!
ভবিষ্যতে জ্বালানি সঙ্কট মোকাবিলায় এই ঘটনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিষয়টিকে বড় একটি সাফল্য হিসেবে দেখছে চীন। মিথেন হাইড্রেটে- যা ‘দাহ্য বরফ’ নামেও বিশেষভাবে পরিচিত – প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চিত থাকে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ মিথেন হাইড্রেট হতে গ্যাস পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এটি করার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। ‘দাহ্য বরফ’ আসলে কী? দাহ্য বরফে পানি ও গ্যাস হিমায়িত অবস্থায় মিশ্রিত থাকে।
বিবিসেকে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের কেমিকেল অ্যান্ড বায়োমলিকিউলার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর প্রাভিন লিনজা বলেছেন, এটা দেখতে অনেকটা বরফের ক্রিস্টালের মতো, তবে সুক্ষভাবে আণবিক পর্যায়ে দেখলে বোঝা যায় মূলত মিথেনের অণুগুলো পানির অণুতে ঘেরা।
আনুষ্ঠানিকভাবে মিথেন ক্ল্যাথারেটস কিংবা হাইড্রেট নামে পরিচিত এই উপাদানটি অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় উচ্চ চাপে তৈরি হয়।
সমুদ্র তলদেশ এবং ভূগর্ভস্থ চিরহিমায়িত অঞ্চলের নিচে এটি পাওয়া সম্ভব। তাপমাত্রা অত্যন্ত কম হলেও এগুলো দাহ্য।
ভবিষ্যতে জ্বালানি সঙ্কট মোকাবিলায় মিথেন হাইড্রেটকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। একে পৃথিবীর সর্বশেষ কার্বনভিত্তিক জ্বালানি বলেও ধারণা করা হচ্ছে।