দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দেশের পর্যটন শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কিন্তু সেই সেন্টমার্টিন জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙনের ফলে হুমকির সম্মখিন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, সোমবার রাত এবং মঙ্গলবার সকালে ভাঙনে ২১টি বসতবাড়ী সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাজারেও জলোচ্ছ্বাসে ১০টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের চতুর্দিকে ভাঙন ধরলেও সবচেয়ে বেশি ভাঙন ধরেছে উত্তর ও পশ্চিম অংশে। বেশিভাগই ভাঙনে বিলীন হয়েছে কবরস্থান। অনেক কবরে মৃতদেহ উম্মুক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ ফাঁড়ির বাউন্ডারি বিধ্বস্ত হয়েছে। তাছাড়া ৬ জন মাঝি-মাল্লাসহ একটি ফিশিং ট্রলার সাগরে ডুবে গেছে। মাঝিমাল্লারা সাতঁরে তীরে ফিরলেও ফিশিং ট্রলারটি এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়কের ওপর দিয়ে পূর্ণিমার জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে সাবরাং ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া, মাঝরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, ডাঙ্গারপাড়া, উত্তরপাড়া, মাঝর ডেইল, ক্যাম্পপাড়া, জালিয়াপাড়া, মগপুরা, বিলপাড়া, হারিয়াখালী, কচুবনিয়া, কাটাবনিয়া, ঘোলাপাড়া, লাফার ঘোনা এলাকার ঘরবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, চিংড়ি ঘের, পানের বরজ, সুপারির বাগান ডুবে গেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উড়িষ্যা উপকূলের কাছে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘু চাপের সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে কক্সবাজারের ওপর দিয়ে এখন থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এলাকার বয়োজ্যষ্ঠরা বলছেন, তারা এর আগে কখনও কক্সবাজারের টেকনাফের প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে এমন ভাঙন এবং জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়তে দেখেননি। জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙনের ফলে এলাকাবাসী যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তেমনি দেশের পর্যটন শিল্পেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।