দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেনা-দায়ের জ্বালায় বাঁচার জন্য এক ব্যক্তি এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। তিনি পাওনাদারের থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত চেহারা বদল করেছেন! কিন্তু তারপরও কি তিনি বাঁচতে পেরেছেন? জানুন বিস্তারিত।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, একাধিক সংস্থা এবং ব্যক্তির নিকট হতে বহু টাকা ধার নিচ্ছিলেন ঝু নাজুয়ান নামে ৫৯ বছরের এক চীনা মহিলা। এভাবেই মাসের পর মাস গড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তার মাথার ওপর দেনা গিয়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৫০ লাখ ইউয়ান! সেই দেনা হতে তিনি এখন বাঁচবেন কিভাবে? তাইতো দিকবিদিক ছুটাছুটি করছিলেন। চোখে ঘুম ছিলো না তার। শেষ পর্যন্ত অন্য কোনো পথ না পেয়ে ওই নারী বেছে নিলেন অভিনব এক কৌশল।
কি সেই কৌশল? প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের চেহারা বদলে ফেললেন তিনি। অদ্ভুত এই কাণ্ডটি ঘটেছে চীনের শেনঝেন শহরে। কারণ ওই মহিলার আর কোনো উপায় ছিলো না। তাই সে এমন একটি পথ বেছে নিলেন।
তিনি একাধিক সংস্থা এবং ব্যক্তির নিকট হতে টাকা ধার নিয়েছেন ঝু নাজুয়ান নামে ৫৯ বছর বয়সী ওই নারী। দিনকে দিন তার দেনার পরিমাণ বেড়েই চলছিল। শেষমেশ সেই দেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৫০ লাখ ইউয়ানে।
দেনার সেই অর্থ ফেরত দেওয়া তো দূরের কথা, পাওনাদারদের হাত থেকে রক্ষা পেতে রীতিমতো পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। পাওনাদারদের অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করে তার বিরুদ্ধে। অবস্থাটা এমন অবস্থায় দাঁড়ায় যে, শেষ পর্যন্ত পাওনাদাররা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের তরফে ওই নারীকে পাওনাদারদের সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
তারপর হঠাৎ একদিন তিনি ফেরারি হয়ে যান। পাওনাদারা তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন। কিন্তু কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি শেনঝেন শহরের পুলিশ তাকে পাকড়াও করতে সমর্থ হয়। তবে প্রথমটায় বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় পুলিশ বাহিনীকে। মুখ বদলে যাওয়ায় ধৃত নারীই ঝু নাজুয়ান কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। পরে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
ধৃত নারী পুলিশকে বলেছে, প্লাস্টিক সার্জারির জন্য অন্যের ব্যাংক কার্ড ব্যবহার করতে হয় তাকে। এমনকি পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও পালিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ট্রেনে সফরের জন্য তিনি ব্যবহার করতেন অন্যা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র। এভাবে বহু দিন কাটানোর পর তিনি পুলিশের হাতে সত্যিই ধরা পড়লেন। একজন অপরাধী সে যতোই ধুর্ত হোক না কেনো, আইনের ফাঁক গলে কেও বেরিয়ে যেতে পারে না, সেটিই প্রমাণিত হলো।