দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্ষা এলে ছাতার কদর বাড়ে। বর্তমানে বর্ষাকাল। তাই ছাতার কথা এখন সকলের মনে থাকে। বাইরে বের হতে গেলে এখন ছাতা ছাড়া বিকল্প নেই। তবে এই বর্ষার ছাতা কতো রকম হতে পারে তা কী আপনি জানেন? আজ দেখে নিন!
বর্ষার এই সময়টিতে আকাশ প্রায় সারাদিনই থাকে মেঘাচ্ছন্ন। ঘর থেকে বের হতে গেলেই ছাতার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমরা সচরাচর যেসব ছাতা দেখি সেগুলোর বাইরেও যে কিছু ব্যতিক্রমি ছাতা থাকতে পারে তা কিন্তু আমাদের মোটেও জানা নেই। আজ এমনই কিছু ব্যতিক্রমি ছাতার পসরা সাজিয়ে আপনাদের সামনে হাজির করছি।
এই ছাতাটিকে আমব্রেলা না বলে বলতে হবে নাব্রেলা! এই ছাতা হাতে ধরে রাখার কোনো ঝামেলা আপনাকে পোহাতে হবে না। এমনকি ছাতা মাথায় দিব্যি সাইকেলও চালাতে পারবেন আপনি। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালান কফম্যান ২০০২ সালে এই ছাতাটি তৈরি করেন।
এমন একটি ছাতা রয়েছে যে ছাতার লাঠির মধ্যেই রয়েছে এলইডি লাইট। যাতে অন্ধকারেও আলোময় এই ছাতা নিয়ে চলাচল করা যায়। এতে করে রাতের বেলা পথ চলতে গেলে আপনাকে আর হাতে টর্চ নিয়ে বের হতে হবে না।
এই ছাতাটি হঠাৎ দেখে মনে হবে, ঝোড়ো হাওয়ায় ছাতাটা বুঝি উল্টে গেলো। তবে তা নয়। এই ছাতাটি মূলত বানানো হয়েছে আদরের পোষা বিড়াল কিংবা কুকুরের জন্য।
এই ছাতাকে বলা হয় সামুরাই ছাতা! ছাতার হাতলটা দেখতে অনেকটা প্রাচীন জাপানের যোদ্ধা সামুরাইদের তলোয়ারের মতোই। তলোয়ারের মতো এই ছাতা আপনি ইচ্ছা করলে কাঁধেও ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন। এটিও এক ব্যতিক্রমি ছাতা।
আসলে এটি কি ছাতা, নাকি টুপি? উত্তর দিতে গেলে বলতে হবে দুটোই! এই ছাতা ভাঁজ করে ব্যাগেও রাখা যায়। তবে হাতে ধরে রাখার ঝামেলা একেবারেই নেই, বৃষ্টিতে ভেজার ভয়ও থাকছে না!
এই ছাতাটিকে বলা হয় ‘মেঘ ছাতা’ বা ক্লাউড আমব্রেলা। নেদারল্যান্ডসের ডিজাইনার জুনসি কিম এই ছাতাটি তৈরি করেছেন। বন্ধ অবস্থায় ছাতাটা দেখতে একদম লাঠির মতো।