দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক মহিলা তার বিয়ের ২৫ বছরেই ১৮ সন্তানের মা হয়েছেন! বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যজনক বটে। বর্তমান সময়ে এমনটি সচরাচর চোখে পড়ে না।
বিয়ের বয়স হয়েছে ২৫ বছর। অথচ এই সময়ের মধ্যে তিনি ১৮ সন্তানের জননী হয়েছেন! কথাটি শুনে হয়তো অবাক লাগতে পারে, কিন্তু ঘটনাটি সত্যি। এক মহিলার গর্ভে এতোগুলো সন্তান জন্মদানের ঘটনা পৃথিবীতে এমনিতেই বিরল, তারপরও রয়েছে এতো কম সময়ে। অবিশ্বাস্যও ঘটনা বটে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যিই ব্রিটেনের সিউ এবং নোয়েল র্যাডফোর্ড দম্পতি এ পর্যন্ত জন্ম দিয়েছেন ১৮টি সন্তান! ডেইল মেইল অনলাইন এ খবর দিয়েছে।
সে কারণে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন তারা। ওসামা বিন লাদেনের পরিবারকেও হার মানিয়েছেন সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে। তবে লাদেনের ৫ স্ত্রী মিলে ২৩টি সন্তান জন্ম দেন। সেখানে সিউ ও নোয়েল র্যাডফোর্ড দম্পতি এই পর্যন্ত জন্ম দিয়েছেন ১৮টি সন্তান।
নতুন সদস্যের আগমনে পরিবারটিতে বইছে খুশির আমেজ। সম্প্রতি সিউ র্যাডফোর্ড এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। যার নাম রাখা হয়েছে হ্যালি আলফিয়ান।
তাদের পারিবারিক ওয়েবসাইটে নবজাত কন্যা সন্তান হ্যালি আলফিয়ানের ছবিও পোস্ট করেছেন সিউ র্যাডফোর্ড। সেখানে সিউ র্যাডফোর্ড জানিয়েছেন, হ্যালি আলফিয়ানের চেহারার গঠন খুব সুন্দর।
১৮তম সন্তান প্রসব করার সময় সিউ র্যাডফোর্ড খুব চিন্তার মধ্যে ছিলেন। কেনোনা গত বছর তাদের ১৭তম সন্তানকে গর্ভাবস্থাতেই হারাতে হয়। তাই সুস্থভাবে হ্যালির জন্ম হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে স্বস্থ্যির নি:শ্বাস বইছে। নতুন অতিথিকে সব সময় ঘিরে রেখেছেন তাদের ১৬ ভাই-বোন মিলে।
জানা যায়, সিউ মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। তার প্রথম সন্তান ক্রিসের বয়স এখন ২৫। ক্রিসের পরে রয়েছে সোফি ২১, চোল ১৯, জ্যাক ১৭, ড্যানিয়েল ১৫, লিউক ১৪, মিলি ১৩, কেটি ১২, জেমস ১১, এলি ৯, অ্যামি ৮, জোস ৭, ম্যাক্স ৬, তিলি ৪, অস্কার ৩, ২ বছরে ক্যাসপার ও সত্যজাত হ্যালি আলফিয়ান।
জানা গেছে, বিশাল এই পরিবারের ভরণপোষেণের কোনো সমস্যা নেই। কারণ হলো ল্যাঙ্কারশায়ারে রয়েছে তাদের বড় একটি বেকারি কারখানা। তাই বড় এই সংসার চালাতে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। র্যাডফোর্ড দম্পতি বলেছেন, তারা এখনও সন্তানদের জন্য কোনো সরকারি সুবিধা নেননি।
ভবিষ্যতে আরও সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিউ জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রকৃতির ওপর সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি। যতোদিন আমাদের সন্তান সৌভাগ্য থাকবে, আমরা ততোদিন গ্রহণ করবো।’ সত্যিই এক ধৈর্যশীল দম্পতি বটে!