দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত পৃথিবীতে বিচরণ করা সবচেয়ে বড় প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে পেটাগোটাইটান মেয়োরাম নামের এই দৈত্যাকার ডাইনোসর প্রজাতিকে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রজাতিটি প্রায় ১০ কোটি বছর পূর্বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে বিচরণ করতো। লম্বা গলার তৃণভোজী এই প্রাণীটির ওজন ৬৯ টন, যা একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের সমান!
এই ডাইনাসোর প্রজাতিটি ইতিহাসের আরেক দৈত্যাকার ডাইনোসর টাইটানোসোরাসের পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আর্জেন্টিনার জনৈক গবেষক ডিয়েগো পল জানিয়েছেন, টাইটানোসোরাসের পরিবারের একটি ছোট্ট দল বিবর্তনের কারণে এরকম বিশাল আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরও জানান যে, একই সময়ে আরেক বৃহদাকার ডাইনাসোর টি-রেক্সকে এর সামনে দাঁড় করালে মনে হবে যেনো একটি হাতির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি সিংহ।
বিজ্ঞানীরা টাইটানোসোরাস সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন। তবে নতুন এই প্রজাতিটির সন্ধান নতুন নতুন গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। জানা যায়, ২০১২ সালে আর্জেন্টিনার দক্ষিণাঞ্চলে পেটাগোটাইটানদের জীবাশ্ম খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। এ পর্যন্ত এই প্রজাতিটির ৬টি ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
দীর্ঘদিন গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা গত ৮ আগস্ট এই ডাইনোসর প্রজাতিটি সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। সেখানে এই পেটাগোটাইটানকে কেবল সবচেয়ে বড় ডাইনোসরই নয়, বরং পৃথিবীর ইতিহাসে এর মাটিতে বিচরণ করা সর্ববৃহৎ প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পেটাগোটাইটানের একটি কংকাল ২০১৬ সালে নিউইয়র্কের আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টোরিতে প্রদর্শনীর জন্য নেওয়া হয়।
বিজ্ঞানীরা এই ডাইনোসরের নামকরণ করেছেন পেটাগো অঞ্চলের নামানুসারে, যেখানে ছিলো টাইটানদের বসবাস। গ্রিক শব্দ টাইটান অর্থ হলো দানব।
উল্লেখ্য, প্রাপ্তবয়স্ক একটি পেটাগোটাইটানের গড় দৈর্ঘ্য ১২২ ফুট কিংবা ৩৭ মিটার। লম্বায় প্রায় ২০ ফুট কিংবা ৬ মিটার। প্রায় ১২টি আফ্রিকান হাতির সমান হবে এদের ওজন!