দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মা বটে! এমন মায়ের কথা মনে হয় আর কখনও শোনা যায়নি। ৭ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে ৪ তলা হতে ফেলে দিলেন এক মা!
সন্তানের জন্য সবথেকে নিরাপদ হলো মায়ের কোল! তবে সেই মা’ই যদি সন্তানকে হত্যা করেন তাহলে নিরাপদ স্থান বলে আর কিছু থাকে না। এমনই একটি লোমহর্ষক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরেু। সেখানকার ৭ বছরের এক শিশু নিহত হওয়ার পর সেই প্রশ্নই স্থানীয়দের মধ্যে বিদ্ধ করেছে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর জেপিনগরের জারাগানাহাল্লি এলাকার এক মা তার ৭ বছরের শিশুকে ৪ তলা ভবনের উপর হতে নীচে ফেলে হত্যা করেছেন। প্রথমবার নীচে ফেলার পরও শিশুটির শরীরে প্রাণ থাকায় আবারও একই কাজ করেন ওই নির্দয় পাষাণ মা। ঘটনাটি ঘটে গত ২৭ আগস্ট।
সম্প্রতি মায়ের হাতে নৃশংসভাবে মেয়ের হত্যার দৃশ্য দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ বছরের শ্রেয়া সরকার আংশিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে কথা বলতে পারতো না। মা স্বাতী সরকার তাকে কথা বলানোর জন্য বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
তবে কথা বলতে না পেরে সেদিন অস্থির হয়ে ওঠেন শ্রেয়া। মেয়েকে শান্ত করতে না পেরে একসময় চারতলা বাড়ির ওপর হতে প্রথমে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেন তারই মা।
দুপুর সাড়ে ৩টা নাগাদ এমন ঘটনা দেখে প্রতিবেশীরা প্রথমে ভেবেছিলেন শ্রেয়া ওপর হতে পড়ে গেছে। মেয়েকে উদ্ধার করতে মা স্বাতীকে নীচেও নামতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তবে ওই ঘাতক মা রক্তাক্ত মেয়েকে ওপরে নিয়ে গিয়ে জামা বদলে ওপর হতে ছুঁড়ে ফেলে দিলে স্থানীয়দের ভুল ভাঙে। প্রথমবার বেঁচে গেলেও, পরেরবার নীচে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু ঘটে শ্রেয়া নামে ওই ৭ বছরের শিশুর।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেয়েকে হত্যা করে পালানোর চেষ্টাও করেন স্বাতী। কিন্তু তখনই তাকে ধরে ফেলে প্রতিবেশীরা। পুলিশেও খবর দেন প্রতিবেশীরাই।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, মেয়েকে নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন স্বাতী সরকার। ১০ বছর পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ হতে সপরিবারে বেঙ্গালুরু আসেন তারা। দু’বছর পূর্বে স্বাতী একটি স্কুলে পড়াতেন। তার স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থায় বিজনেস অ্যানালিস্টের কাজে কর্মরত।
বছরখানেক পূর্বে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। তবে স্বাতী এবং তার মেয়েকে নিয়মিত অর্থসাহায্য পাঠাতেন ওই ব্যক্তি।
মেয়েকে ফেলে দিয়ে মারার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
তথ্যসূত্র: http://timesofindia.indiatimes.com