দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে খুব সহজেই বড় বড় মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়। কম দামে বিক্রি করে এসব মেমোরি কার্ড। আমরা দামে কম পেয়ে আনন্দের সঙ্গে সেগুলো কিনেও ফেলি। কিন্তু এই সব মেমোরি কার্ড ভুয়া হতে পারে তা কখনও ভাবিনা।
অনেক সময় দেখা যায়, ৩২ জিবি মেমোরি কার্ড মাত্র ৩০০ টাকা। আবার ১৬ জিবি মেমোরি কার্ড মাত্র ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানসহ বিভিন্ন স্থানে মুঠোফোনের মেমোরি কার্ড এমন কম দামেই বিক্রি করছেন হকাররা! অথচ মার্কেটে কিনতে গেলে এর দাম পড়বে ৬০০-৮০০ টাকা। সেখানে এতো কম দামে মেমোরি কার্ড পাওয়ার কারণে অনেকেই তা কিনে নিচ্ছেন, প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, এসব মেমোরি কার্ড মাত্র ২ কিংবা ৪ জিবির যা কিনে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। এসব মেমোরি কার্ডে ৯০ শতাংশ ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা থেকে যায়। নিম্নমানের এসব মেমোরি কার্ড খুব কম সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুসন্ধানে এসব প্রতারণা ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে।
তারা দেখেছেন, গুলিস্তানসহ পুরো ঢাকা শহরে প্রায় এক হাজার হকার হাকডাক হাকিয়ে মুড়ি-মুরকির মতোই বিক্রি করছে এসব মেমোরি কার্ড। গুলিস্তান এলাকায় প্রতি পাঁচ গজ অন্তর অন্তর টেবিল বসিয়ে সাউন্ড বক্স লাগিয়ে চটকদারী কথার রেকর্ড বাজিয়ে হকাররা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে।
হকাররা গুলিস্তানের সুন্দরবন মার্কেট ও পাতাল মার্কেট হতে মাত্র ৭০ বা ৮০ টাকায় এসব মেমোরি কার্ড কিনে এনে বিক্রি করছে। কেনার পর প্রতারিত হয়ে ক্রেতারা এই মেমোরি কার্ড ফেরত দিতে গেলে হকাররা তো ফেরতও নেয় না, উল্টো সংঘবদ্ধ হকারচক্রের দ্বারা গ্রাহকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মাঝে-মধ্যে চোখে পড়ে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং গ্রাহকদের অসচেতনতার কারণে দিনের পর দিন চলছে এমন প্রতারণা। এটি বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বানও জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ।