দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে মিয়ানমারে ধ্বংসযজ্ঞের কথা স্বীকার করেছে মিয়ানমারের মানবাধিকার কমিশন। তারা স্বীকার করে নিয়েছে রোহিঙ্গা নিধনের কথা!
রোহিঙ্গা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া এক চিঠির জবাবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হত্যা এবং নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে মিয়ানমারের মানবাধিকার কমিশন। মিয়ানমারকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের সুপারিশ করেছে মানবাধিকার কমিশনের কমিশন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর চলছে জাতিগত নিধন। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে নির্যাতনের শিকার ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশমুখী এই স্রোত এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে উদ্বেগ জানিয়ে মিয়ানমারের মানবধিকার কমিশনকে গত ৮ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই চিঠির জবাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের কারণ হিসেবে তাদের হত্যা এবং নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন: যদিও তারা সবকিছু স্বীকার করতে চায় না, তারপরও চিঠির জবাবে তারা স্বীকার করেছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন করার কারণে তারা বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে। যদিও মিয়ানমার সরকার বারবার বলতে চেষ্টা করছে যে, তাদের ওখানে কোনো নির্যাতন হচ্ছে না।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার পুলিশের উপর আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলাকে তারা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখার জন্য অন্তর্জাতিক তদন্তের সুপারিশ করেছে জাতীয় মানবধিকার কমিশন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং সামাজিক খাতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেও কেবলমাত্র মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।