দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুরা এবার হ্যাকিং ঝুঁকিতে পড়তে পারে ‘স্মার্ট ওয়াচ’ এর কারণে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে নরওয়ের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ।
জানানো হয়েছে, শিশুদের জন্য বাজারে যেসব ‘স্মার্ট ওয়াচ’ ছাড়া হয়েছে সেগুলো হ্যাকিং এর ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কথা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নরওয়ের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ। নরওয়েজিয়ান কনজুমার কাউন্সিল বলেছে যে, তারা শিশুদের জন্য তৈরি এসব ‘স্মার্ট ওয়াচ’ পরীক্ষা করে এগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নানা গলদ রয়েছে বলে দেখতে পেয়েছেন।
কেও চাইলেই এসব ‘স্মার্ট ওয়াচ’ ট্র্যাক করতে পারবে, এগুলোতে আড়ি পাততে পারবে, এমনকি যে শিশু এই ঘড়ি পরে রয়েছে তারসঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবে!
তবে যেসব ব্রান্ডের ‘স্মার্ট ওয়াচ’ সম্পর্কে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তারা বলেছে, যে সমস্যা ছিল তার সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাজারে এখন শিশুদের জন্য যেসব স্মার্টওয়াচ পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো অনেকটা স্মার্টফোনের মতোই কাজ করে। যে কারণে বাবা-মা চাইলে তাদের শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাও করতে পারেন। শিশুরা কখন-কোথায় আছে তা জানতে পারেন। আবার কোনো কোনো স্মার্টফোনে একটি এস-ও-এস বা বিপদ সংকেত বাটনও রয়েছে, শিশুরা বিপদে পড়লে যা চেপে সঙ্গে সঙ্গে বাবা মাকে সতর্ক বার্তা দিতে পারে।
একটি ‘স্মার্ট ওয়াচ’ এর দাম এখন একশো পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় ১০ হাজার টাকার মতো। নরওয়ের কনজুমার কাউন্সিল বলেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদের কারণে অপরিচিত যে কোনো লোক চাইলে শিশুর গতিবিধির ওপর নজর রাখাতে পারবে। একজন শিশুর অবস্থান সম্পর্কে একেবারে ভুল তথ্য দিতে পারবে হ্যাকাররা!