দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই জানতে চান বেতের নামাজের সময় ও নিয়ম সম্পর্কে। বেতরের নামাজ অন্যান্য নামাজের মতোই। খুব সামান্য পার্থক্য রয়েছে এই নামাজের। আজ জেনে নিন বেতের নামাজের সময় ও নিয়ম।
অনেকেই জানতে চান বেতের নামাজের সময় ও নিয়ম সম্পর্কে। বেতরের নামাজ অন্যান্য নামাজের মতোই। খুব সামান্য পার্থক্য রয়েছে এই নামাজের। আজ জেনে নিন বেতের নামাজের সময় ও নিয়ম।
কোন সময় পড়বেন বেতের নামাজ
বেতের নামাজের সময় নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে ইমামা সাহেবগণের মতে, বেতরের নামাজ এশার নামাজের পর হতে সুবহি সাদিকের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত পড়া যায়। বেতরের নামাজ রমজানের এক মাস তারাবিহ নামাজের পর জামাতে পড়া হয়। তবে অন্য সময় যার যার মতো করে এই বেতরের নামাজ আদায় করা হয়। এটি ওয়াজিব নামাজ।
আমাদের ইমাম আবু হানিফা (রহ:) এর মতে, এশা ও বেতের নামাজের একই সময়। (ফুররুল মুখতার) : বেতরের নামাজ নির্দিস্ট সময়ের মধ্যেই আদায় করতে হয় । তবে যারা শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকার অভ্যাস করেছেন, কেবল ওইসব লোকেরাই শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পরও বেতরের নামায আদায় করতে পারেন। কেনোনা রাসুলে করীম (সা:) এই নিয়মেই বেতর আদায় করতেন ।
যাদের শেষ রাতে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস নেই, তারা অবশ্যই এশার নামাজের সঙ্গে সঙ্গেই আদায় করবেন।
বেতরের নামাজের নিয়ত
উচ্চারণ: নাওাইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’ লা সালাসা রাক’আতাই সালাতিল বেত্রে ওয়াজিবুল্লাহি তা’লা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা’ বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়ত হলো: তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর।
বেতের নামাজ পড়বেন যেভাবে
বেতরের তিন রাকাত নামাযের নিয়্যত করে তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে যথারীতি দুরাকা’আতের পর বসে তাশাহুদ পাঠ করে তারপর দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাক’আতে সূরা-কিরায়াত পাঠ করে পুনরায় তাহরীমা (হাত ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ আকবর বলে) বেঁধে দোয়ায়ে কুনূত পাঠ করে যথারীতি রুকূ-সিজদাহ এবং শেষে বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ সমাপ্ত করতে হবে।
আপনি যে কোন সুরা পড়তে পারেন এতে কোনো বিধি নিষেধ নেই।
অন্যান্য নামাজের নিয়ত ও মোনাজাত জানতে ক্লিক করুন- “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও মোনাজাত”