দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের হাঁপানি আছে তারা প্রায় সারা বছরই শ্বাসকষ্টে ভোগেন। তবে শীত এলে অনেকেই হাঁপানি বা এ্যাজমা সমস্যা আরও বাড়ে। হাঁপানি কিভাবে প্রতিরোধ করবেন সেটি জেনে নিন।
যাদের হাঁপানি বা এ্যাজমা সমস্যা রয়েছে। তারা গরমকালে মোটামুটি ভালোই থাকেন। কিন্তু শীত এলেই তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাঁপানিও বাড়তে থাকে। আজ রয়েছে এইসব হাঁপানি রোগিদের জন্য কিছু স্বাস্থ্য টিপস্:
? অ্যালার্জিকারক বস্তূ এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ যেসব কারণে এলার্জি বাড়তে পারে। যেমন: ধুলো-বালি, ঘরের ঝুল, ধোঁয়া, ঝাঁঝাল গন্ধ ইত্যাদি হতে দূরে থাকুন।
? ঘরবাড়ি ধুলোবালি মুক্ত রাখার জন্য চেষ্টা করুন।
? ধুলোবালি কমানোর জন্য ঘরে কার্পেট না রাখা ভালো।
? বালিশ, তোশক, ম্যাট্রেসে তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
? শীতকালে যথাসম্ভব গরম পানিতে অজু ও গোসল করুন।
? ধূমপান হতে বিরত থাকুন।
? যেসব খাবারে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সেসব খাবার অবশ্যই পরিহার করুন।
? ঠান্ডা খাবার, যেমন আইসক্রিম, ঠাণ্ডা শরবত ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
? মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তাকে ইতিবাচক মনোভাবে মানিয়ে চলুন বা মানসিক চাপের কারণগুলোকে এড়িয়ে চলুন।
? পেশাগত কারণে যেমন সিমেন্ট কারখানা, তুলার কারখান বা এই জাতীয় কোনো কারখানায় যারা কাজ করন। তাদের অ্যাজমা হলে চেষ্টা করতে হবে স্থান বা পেশা পরিবর্তন করার জন্য।
? পরিশ্রম করা কোনো কাজ বা খেলাধুলার কারণে যদি শ্বাসকষ্ট বাড়ে তাহলে চেষ্টা করতে হবে পরিশ্রমের কাজ পরিহার করার জন্য।
? যার শ্বাসকষ্ট রয়েছে তার সময় ইতিবাচক চিন্তা করা উচিত।
? পরাগ রেণু পরিহার করতে সকাল-সন্ধ্যা বাগান এলাকায় কিংবা শস্য ক্ষেতের কাছে না যাওয়া ভালো।
? যদি নেহায়েত পরাগ রেণু এলাকায় যেতেই হয়, তাহলে বাসায় ফিরে মাথার চুল ও কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
? পোষা ককুকুর-বিড়াল বাগান হতে পরাগ রেণু বহন করতে পারে। সেজন্য নিয়মিত কুকুর-বিড়ালকে গোসল করানো দরকার।
তথ্যসূত্র: ল্যাবএইড হেলথ টিপস্