দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (রবিবার) শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। তবে এই পরীক্ষা ভবিষ্যতে হবে কি হবে না সে বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত।
আজ (রবিবার) শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা। দেশের ৭ হাজার ২৬৭টি ও বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলবে আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ বছর মোট প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
এ বছর ২ হাজার প্রাথমিকে ৯৫৩ জন ও ইবতেদায়ীতে ৩৭৯ জন ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন’ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে । এই বিশেষ শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এবার পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করছেন এবং এই সময় কোনো পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে গত বছর হতে দেশের ৬৪ জেলাকে বিশেষ ৮টি অঞ্চলে ভাগ করে ৮ সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে প্রাথমিক ও ইবেতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে অবহেলা কিংবা অনিয়মের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাসরোধে বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ও দুর্গম এলাকার ২০৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়।
আজ যথারিতি প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তবে তিনি ক্লাসের মধ্যে প্রবেশ করেননি। পরীক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন পরীক্ষা নীতিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবারও প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি অনুমোদন পেলে তখন সমাপনি পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না।
বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এতো কম বয়সী শিক্ষার্থীদের বোর্ডভিত্তিক পরীক্ষা তাদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। সে কারণে এই পদ্ধতি বিশেষ করে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে না থাকায় ভালো বলে মনে করেন অনেকেই। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো আগামী বছর এই পরীক্ষা নাও হতে পারে।