দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘ বলেছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারের রাখাইনের উত্তরাংশে এখনও ফেরার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরার মতো কোনো পরিস্থিতি রাখাইনের উত্তরাংশে এখনও হয়নি বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। গতকাল (শুক্রবার) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র আদ্রিয়ান এডওয়ার্ড বলেনছেন, ওই সম্মতিপত্রে কী রয়েছে- তা তারা এখনও দেখেননি।
সহিংসতার শিকার হওয়া মিয়ানমারের ওই জনগোষ্ঠীর রাখাইনে ফেরার বিষয়টি যেনো স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে হয়, সেটি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন আদ্রিয়ান এডওয়ার্ড। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে ও এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি করতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে একটি সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হওয়ার পরদিন ইউএনএইচসিআরের এই প্রতিক্রিয়া এলো।
বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে। এবার গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর আরও সোয়া ৬ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
তাদের ফেরার পথ তৈরি করতে গত বৃহস্পতিবার নেপিদোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের দপ্তরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত সোয়ে একটি সম্মতিপত্রে (অ্যারেঞ্জমেন্ট) স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ৩ সপ্তাহের মধ্যে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করে ২ মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা ও এজন্য যতো দ্রুত সম্ভব একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ওই সম্মতিপত্রে।