দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়ঃসন্ধিক্ষণে কিশোর – কিশোরীর আবেগ কাজ করে বেশী এবং তখন তারা অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। আর ঠিক এরকম ব্যাপারই ঘটেছে প্রয়াত বিশ্ববিখ্যাত পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন এর ১৫ বছর বয়সী মেয়ে প্যারিস জ্যাকসনের ক্ষেত্রে। গত বুধবার (জুন ৫) প্যারিস জ্যাকসন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে জানা যায় এবং তার পূর্বে সে জানিয়েছিল, তার বাবা মাইকেল জ্যাকসন বেঁচে থাকলে তাকে ভালো বুঝতে পারত।
পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন অস্ত্রপাচারের জন্য অনুভূতিনাশক প্রপফলের কয়েক ডোজ নেওয়ার ফলে ২০০৯ সালে মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকে অতিরিক্ত আবেগ প্রবণ এবং আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে প্যারিস। গত মঙ্গলবারে তার বদমেজাজের কারণে পারিবারিক ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটে এবং তখন সে চিৎকার করে বলতে থাকে, “আমার বাবা মাইকেল জ্যাকসন যদি এখানে থাকতো তাহলে আমাকে ভালো বুঝতে পারত।”
সান পত্রিকাতে তার এক বিবৃতিতে প্যারিস জানায় – তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ঠিকভাবে বুঝতে পারে না, যা তাকে দিন দিন নিঃসঙ্গ এবং একাকী করে তুলছে।
গত বুধবার এই কিশোরী রান্নাঘরে গিয়ে ছুরির সাহায্যে তার হাতের কব্জি কেটে ফেলে এবং ৯১১ এ ফোন দেয়। অবশ্য তার আগে সে অতিরিক্ত মাত্রার ঘুমের ওষুধও সেবন করে। আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ হিসেবে জানা যায় তার পরিবারের অন্যান্য অভিভাবকেরা তাকে তার পছন্দমত জীবনধারণে তাদের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছিল যা তাকে অসুখী করে তুলে।
জানা যায় আত্মহত্যা চেষ্টার আগে সে তার টুইটারে টুইট করেছিল এই লিখে, ‘yesterday , all my troubles seemed so far away now it looks as though they’re here to stay’ (গতকাল আমার মনে হয়েছিল আমার সমস্ত সমস্যা দূরে চলে গিয়েছে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ওগুলো আমার সাথে এখনো রয়েই গেছে) এবং ‘I wonder why tears are salty?’ (অশ্রু এত নোনতা কেন?)
অবশ্য আত্মহত্যার চেষ্টায় সফল হবার আগেই তাকে তার পরিবার লস এঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে এবং হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে প্যারিস এখন সুস্থ আছে। প্যারিসের দাদীর পারিবারিক এটর্নি মি. কশকফ এ কথা গণমাধ্যমে জানান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত – লস এঞ্জেলসের উচ্চ আদালত প্যারিসের আত্মহত্যার চেষ্টার কারণে তার স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য কল্যাণ নিশ্চিত করতে তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।