দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহার সন্ধান পাওয়া গেছে সমুদ্রের পানির নিচে! মেক্সিকোযতে মায়া সভ্যতার ইতিহাসে এটি এক নতুন দিশা দেখিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এটি মেক্সিকোর ঘটনা। এটি একটি মায়া সভ্যতার নিদর্শন। মায়া সভ্যতা সবসময় রহস্যে ঘেরা। এখনও এই সভ্যতার রহস্য হতে পর্দা ওঠেনি। মাঝে-মধ্যে এক একটা করে মোড়ক উন্মোচন হয়।
সম্প্রতি এমন আরও একটি পর্দা উন্মোচন হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডুবন্ত গুহার সন্ধান পাওয়া গেছে মেক্সিকোতো। মায়া সভ্যতার ইতিহাসে এটি এক নতুন দিশা দেখিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
একজন ডুবুরি এই গুহাটি আবিষ্কার করেছেন। পৃথিবীতে এখনও এটিই সমুদ্রের পানির নিচে সবচেয়ে বড় গুহা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ইউকাতান পেনিনসুলার তলদেশে যা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা এবং সংরক্ষণ নিয়ে একটি প্রজেক্ট তৈরি হচ্ছে। এটির নাম গ্রান অ্যাকিউফেরো মায়া (GAM)। এই প্রজেক্টের কাজ করার সময়ই এই গুহা আবিষ্কৃত হয়েছে। বলা হয়েছে যে, এই গুহার দৈর্ঘ্য ৩৪৭ কিলোমিটার!
জানা যায়, তুলুম বিচ রিসর্টের খুব নিকটে স্যাক অ্যাক্টন নামে একটি গুহার সন্ধান পাওয়া যায়। এর দৈর্ঘ্য ছিল ২৬৩ কিলোমিটার। এমন আরও একটি গুহা দস ওজোসের দৈর্ঘ্য ৮৩ কিলোমিটার। বিষয়টি জানিয়েছে GAM। যে কারণে স্যাক অ্যাক্টন ছাপিয়ে গিয়েছে দস ওজোসকেও।
GAM ডিরেক্টর এবং আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজিস্ট গুয়েলিরমো দে আনদা জানিয়েছেন যে, স্পেন দক্ষিণ আমেরিকার এই জায়গা দখলের পূর্বে স্থানটি মায়া সভ্যতার অন্তর্গত ছিল। এই গুহার সন্ধান পাওয়ার পর মায়া সংস্কৃতি এবং সভ্যতা নিয়ে একটা নতুন দিকও খুলে গেলো। তাদের ধর্মানুষ্ঠান, তীর্থস্থান ও এই জাতীয় তথ্য আরও বর্ধিত হবে।