দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি চালাতে এবার ড্রোন চালু করবে ভারত। দেশটির সীমান্ত রক্ষি বিএসএফের মহাপরিচালক কে.কে. শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ, জাল নোট, আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য পাচার রুখতে বিএসএফ আগামী বছরের আগেই স্মার্ট-ফেন্সিংয়ের সঙ্গে কাজে লাগাবে মনুষ্য চালকবিহীন আকাশযান ইউএভি।
বিএসএফের মহাপরিচালক কে.কে. শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়ে বলেছেন. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এই বিষয়ে বিএসএফের প্রস্তাব অনুমোদনও করেছে। আসামের ব্রহ্মপুত্র নদ বরাবর নদী-নালা অধ্যুষিত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ধুবড়ি সীমান্ত এলাকায় দেশীয় এই প্রযুক্তির সাহায্যে কাঁটাতারের স্মার্ট সীমান্ত বেড়াও বসানো হবে চলতি বছরের মধ্যেই।
কে.কে. শর্মা আরও বলেছেন, আপাতত ৪টি মনুষ্য চালকবিহীন আকাশযান কেনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে সরকারের নিকট, যেগুলো মোতায়েন করা হবে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অতি স্পর্শকাতর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরা সীমান্তে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৫টি বিএসএফ ব্যাটেলিয়ান (মোট সদস্য হবে ৫ হাজার) গড়ে তোলার অনুমতিও চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।
বিএসএফ প্রধান বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় অপরাধ দমনে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সঙ্গে ভারতীয় বিএসএফের পারস্পরিক সম্পর্ক খুব আন্তরিক। সীমান্ত অপরাধ দমনে বাংলাদেশীদের নিহত হওয়ার সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা প্রতিরোধে ভারত-বাংলাদেশ একইসঙ্গে যৌথ অপারেশনও চালাবে। কারণ হলো বিএসএফ পাল্টা গুলি চালালে বাংলাদেশীদের হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আশা করা যাচ্ছে, যে কারণে পরিস্থিতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। গবাদিপশু পাচার সম্পর্কে বিএসএফের মহাপরিচালক বলেছেন, গবাদিপশু পাচারের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। খবর ডয়চেভেলে সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমের।