দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সমাজে মাঝে-মধ্যেই ঘটে যায় নানা ধরনের ঘটনা। তবে কিছু কিছু ঘটনা মানুষকে অবাক করে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। সেখানকার এক মুসলিম দম্পতি হিন্দু রীতিতে ছেলের বিয়ে দিয়েছেন!
ধর্ম নিয়ে মাথাব্যথা যে সত্যিই মধ্যবিত্ত ভারতের নেই, তার প্রমাণ করে দিলেন উত্তরাখন্ডের এক মুসলিম দম্পতি। তারা নিজেদের ছেলের বিয়ে দিলেন হিন্দু রীতিতে! যা আগে কখনও দেখা যায়নি।
উত্তরাখন্ডের দেরাদুনের মইনুদ্দিন ও কৌসর পরিবার দত্তক নিয়েছিলেন ১২ বছরের রাকেশ রস্তোগি নামে একটি ছেলেকে। বাবা মা মুসলিম, কিন্তু ছেলে হিন্দু। তবে তাতে কী, কখনও কোনও বিরোধ বাধেনি দুই ধর্মের মধ্যে। যেখানে হোলি খেলা হতো, সেখানেই পালন করা হতো ঈদ। কোনওদিন ছেলের ধর্ম পরিবর্তন করার কথা ভাবেননি এই পরিবার। প্রয়োজনও হয়নি কখনও। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে দিব্যি কেটেছে তাদের জীবন।
এখন সেই ছেলে বড় হয়েছে। তার বিয়ে দেওয়ার ভাবনাও এসেছে বাবা-মায়ের। বিয়েও দিয়েছেন তারা। তবে পুরোপুরি সেই হিন্দু মতে। পুত্রবধূ সোনিকে ঘরে বরণ করে তুলেছেন কৌসর একজন হিন্দু মায়ের মতো করেই, যাবতীয় আচার মেনেই। কোথাও বিন্দুমাত্র খামতি ছিল না এক্ষেত্রে।
এই বিষয়টি নিয়ে মুসলিম বাবা মায়ের হিন্দু ছেলে হয়ে কি বলেছেন রাকেশ? তার কথায় তিনি ভাগ্যবান ব্যক্তি। তার বাবা-মা কোনওদিনই ধর্ম নিয়ে কোনো রকম বাড়াবাড়ি করেননি। সবকিছুতেই সমর্থন জুগিয়েছেন তাকে। বিয়েও হয়েছে তাদের সম্পূর্ণ সম্মতিতেই। তাও পুরোপুরি হিন্দু মতে। রাকেশ আরও জানান, তিনি কখনও অনুভব করেননি যে কোনও মুসলমান পরিবারে তিনি বেড়ে উঠেছেন।
আবার তার ধর্মাচারণের ক্ষেত্রে কখনও তার বাবা-মা বা পরিবারের কেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বলে নিজের অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাকেশ। আর তাই তিনি নিজেকে ভাগ্যবান ব্যক্তি বলেই মনে করেন। রাকেশ তার বাবা-মাকে নিয়ে তাই গর্ববোধ করেন।