দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিনগ্রহীদের নিয়ে কম গবেষণা হয়নি। মাঝে খবর প্রকাশিত হয় যে, ভিনগ্রহী এলিয়েনদের আগমনে মানুষের মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে। কিন্তু এবার ঠিক তার উল্টো খবর এসেছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভিনগ্রহী এলিয়েনদের আগমনে মানুষ নাকি খুশিই হবে!
দ্য গার্ডিয়ান এর এক খবরে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে ভিনগ্রহের অধিবাসী কিংবা এলিয়েনরা মানুষের মারাত্মক বিপদ ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করা হলেও সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে সম্পূর্ণ এক ভিন্ন কথা। বিজ্ঞানীদের দাবি হলো, ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে আসলে মানুষ নাকি খুশিই হবে এবং তাদের স্বাগত জানাবে।
সুইজারল্যান্ড হতে প্রকাশিত ‘ফ্রান্টিয়ার্স অব সাইকোলজি’ সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমন কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভিনগ্রহবাসীরা পৃথিবীতে এলে মানুষ খুশিমনে তাদেরকে আরও স্বাগত জানাবে। এই গবেষণাটি করেছেন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনে রবিবার আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। এই সম্মেলনে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাইকেল ভারনামের ভিনগ্রহবাসীদের নিয়ে তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি পরীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করার কথাও রয়েছে। এই পরীক্ষাতেই পাওয়া গেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং পূর্বেই মানুষকে সতর্ক করে বলেছিলেন, এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা মানুষের অবস্থান জানিয়ে দেবে। ঠিকানা চিনে পরে এলিয়েনরা পৃথিবীতে এসে মানুষকে পদানত করার চেষ্টা করবে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন চিত্র। গবেষকরা বলছেন, মানুষ বাস্তবে হলিউডের মুভির মতো মানুষের সঙ্গে কোনো সংঘাত বাঁধবে না এলিয়েনদের। বরং এলিয়েনদের আগমনে খুশিই হবে মানুষ।
মাইকেল ভারনাম আরও বলেন, আমরা যদি পৃথিবীর বাইরের মহাবিশ্বের অন্য কোনো প্রাণীর মুখোমুখি হই, তাহলে আমরা অবশ্যই আশাবাদী হতে পারি। আমরা এতোদিন এসব বিষয়ে নানা ধরনের অনুমান করা সংবাদ দেখেছি। তবে এই বিষয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। এই গবেষণার যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা সত্যিই ভালো। মানুষ খুবই আগ্রহী হয়েছেন, অন্য গ্রহের প্রাণীরা কেমন হবে সেটি জানার জন্য। এই বিষয়টিতে মানুষ খুবই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।
গবেষকরা দাবি করেছেন যে, এলিয়েনদের দেখা পাওয়া এখন কেবলমাত্র সময়ের ব্যাপার। কারণ মহাবিশ্বে এতো বিপুলসংখ্যক জীবনধারণের মতো গ্রহ রয়েছে যে, সেখানে কোনো প্রাণীর বাস কোনো কঠিন কিছুই নয় বলেই মনে করেন গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।