দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবী ও বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য হলো এলিয়েন। বা যাকে বলা যায় ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব। বহুকাল থেকেই এলিয়েন নিয়ে গবেষণা চলে আসছে। এবার তথ্য বেরিয়ে এসেছে যে ১৪ আলোকবর্ষ দূরে বসবাস করছে এলিয়েন!
বছরের পর বছর যুগের পর যুগ নানা রকম চেষ্টা করেও মানুষ এলিয়েন সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ধারণা অর্জন করতে পারেননি। তারপরও সারা বিশ্বের গণমাধ্যম হতে শুরু করে রূপালী পর্দা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই এলিয়েন কিংবা ভিনগ্রহীদের জয়জয়কার চলছে। তবে প্রশ্ন হলো, ভিনগ্রহে কি আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? সত্যিই কী এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে ব্রহ্মাণ্ডে?
এর উত্তর খোঁজার জন্য কোন গ্রহে প্রাণ রয়েছে সেটি নিয়ে দিন রাত কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। কোথাও প্রাণের নমুনা পেলেই গবেষকদের নজর চলে আসে সেদিকেই। এবার সৌরজগতের সেই রকমই এক গ্রহের কথা জানতে পেরেছে মহাকাশবিদরা।
এটি খুব বেশি দূরে নয়। পৃথিবী হতে মাত্র ১৪ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে ওই গ্রহ। পৃথিবীর থেকে আকারে প্রায় চারগুণ বড়। Wolf 1061 নামে একটি নক্ষত্রকে ঘিরে সেই গ্রহ আবর্তিত হয়ে আছে। সেখানে রয়েছে মোট ৩টি গ্রহ। আর এই গ্রহটিই সবথেকে নিকটবর্তী।
বিজ্ঞানীদের অনুমান হলো, এই গ্রহগুলির গা পাথরের এবং শক্তও। দ্বিতীয়ত গ্রহটিতে পানি পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের গবেষণায় এমন সব তথ্য উঠে এসেছে।
ওই গবেষণা দলের জনৈক গবেষক ডানকান রাইট জানিয়েছেন, এটা ভাবতেও ভালো লাগছে যে আমাদের এতো কাছে আরও একটা নক্ষত্র রয়েছে তার চারপাশে প্রাণ রয়েছে এমন গ্রহ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। আর সেটি সত্যি হলে সেখানেই রয়েছে ভিনগ্রহীদের বসবাস।
৩টি গ্রহ পৃথিবী হতে যথাক্রমে ১.৪, ৪.৩ এবং ৫.২ গুণ বড়। এরা ৫ দিন, ৮ দিন এবং ৬৭ দিনে নিজেদের কক্ষপথ ঘুরে আসে বলে জানা গেছে।
এ পর্যন্ত যতো পাথুরে গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে প্রায় সবকটিই কয়েক’শ কিংবা কয়েক হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। তাই এই নয়া আবিষ্কারের ফলে আশা দেখতে পাচ্ছেন গবেষকরা। সবচেয়ে বড় কথা হলো, গবেষকদের একটি বড় দলের দৃঢ় বিশ্বাস এই গ্রহে অবশ্যই প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। যদি সত্যি সত্যিই তেমন কিছু ঘটে থাকে তাহলে অবশ্য খুঁজে পাওয়া যাবে এলিয়েন সংক্রান্ত সমস্ত ধারণা এবং বিশ্বাসের আসল ও সত্য রূপ।