দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে ‘উগ্রপন্থি’ ঘোষণা করে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের যে বক্তব্য রেখেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটি মনে করে, সৌদি আরব ইসরায়েলকে উসকানি দিচ্ছে।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে যে, জনমতকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের ইসরায়েল বিরোধী বৈধ প্রতিরোধ সংগ্রামের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যেই এমন বক্তব্য দিয়েছেন সৌদি আরবেরপররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ধরনের বক্তব্যের কারণে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আরও বেশি হত্যাযজ্ঞ চালাতে উসকানি পাবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আদেল আল-জুবায়ের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তৃতায় হামাসকে ‘উগ্রপন্থি’ উল্লেখ করে দাবি করেন যে, কাতার ফিলিস্তিনি এই আন্দোলনকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে গাজার সরকারি দপ্তরগুলো ফাতাহ আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন সরকারের কাছে হস্তান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জুবায়ের এমন সময় এই দাবি করলেন যখন গত বছর মিশরের রাজধানী কায়রোয় ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক শান্তি চুক্তির আওতায় গাজার সরকারি দপ্তরগুলো হস্তান্তর করা হয়; কাতারের সমর্থন প্রত্যাহারের কারণে নয়।
২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে হামাস এবং ফাতাহ আন্দোলন নিজেদের মধ্যকার এক দশকের মুখোমুখি অবস্থানের অবসান কল্পে সম্মত হয়।
কায়রোয় স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয় যে, ফাতাহর নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন সরকার জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের পাশাপাশি গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণও গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে হামাস বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর হামাস এবং ফাতাহর মধ্যে শত্রুতা শুরু হয়। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জননির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়াকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার কারণে ২০০৭ সালে হামাস এককভাবে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।