দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টানা ১২০ ঘন্টা বই পড়ার বিশ্বরেকর্ড করলেন নাইজেরিয়ার ওলুবায়োদি ট্রেজারেস-ওলাওয়ানমি। এর আগে টানা ১১৩ ঘণ্টা বই পড়ার বিশ্বরেকর্ডটি ছিল নেপালের দীপক শর্মার।
আমরা সকলেই জানি বইপ্রেমিদের সবচেয়ে আনন্দঘন সময় কাটে বই পড়ার মাধ্যমে। যারা বই ভালোবাসেন তাদের ঘরে অন্যান্য আসবাবের চেয়ে অধিক গুরুত্ব পায় বই। টানা কতোক্ষণ বই পড়া সম্ভব? ৪ ঘন্টা হতে ৬ ঘন্টা হতে পারে। কিন্তু টানা ১২০ ঘন্টা বই পড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন নাইজেরিয়ার ওলুবায়োদি ট্রেজারেস-ওলাওয়ানমি নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি তিনি গিনেস বুকে নামও লিখিয়েছেন। ওলুবায়োদির আগে টানা ১১৩ ঘণ্টা বই পড়ার বিশ্বরেকর্ডটি গড়েছিলেন নেপালের দীপক শর্মা।
নাইজেরিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নাইজেরিয়ার অন্যতম বড় শহর লাগোসের ইয়াবা এলাকার ইউরিড লাইব্রেরিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টায় বই নিয়ে বসেন লুবায়োদি ট্রেজারেস-ওলাওয়ানমি। তারপর হতে তিনি টানা বিভিন্ন বই পড়তে থাকেন। এভাবে তিনি টানা ১২০ ঘন্টা বই পড়েন।
তিনি বলেন, এই প্রথম এতো দুর্দান্ত একটি দুঃসাহসিক কাজ করলাম। কারণ ৫ দিন একনাগাড়ে বসে থেকে বই পড়া কারও জন্য খুব একটা সহজ কাজ নয়। নাইজেরিয়ায় বই পড়া এবং লেখার সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করার সচেতনতা তৈরির জন্যই এই পরিকল্পনা আমি নিয়েছিলাম। পৃথিবীকে আমি জানাতে চেয়েছি, নাইজেরীয়রা একটি মহান জাতি। বই পড়ার এই অভিযানে প্রতিদিন খাওয়া, গোসল ও সামান্য একটু তন্দ্রার জন্য মাত্র ২০ মিনিট করে সময় ব্যয় করেছি আমি। বাকি সময়টুকু কাজে লাগিয়েছি শুধুই বই পড়ে। এই ক`দিনে আমি পরিপূর্ণভাবে কখনও ঘুমাইনি, তারপরও এই রেকর্ড করতে পেরে আমি খুবই খুশি।
ওলুবায়োদি ট্রেজারেস-ওলাওয়ানমির স্ত্রী তোসিন বলেন, সে যখন আমাকে টানা বই পড়ার পরিকল্পনার কথা জানায় তখন আমি খুব অবাক হলাম। আমার মনে হয়েছিল এটা করে কোনোই লাভ নেই। তবে এখন সে ভুল ভেঙেছে। তার এই রেকর্ডটি হতে আমাদের তিন সন্তানও শিক্ষা নিয়েছে। বায়োদির স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমিও খুব আনন্দিত হয়েছি।