দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের রাখাইন হতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর সেইসব স্থানে ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের জমিতে তাদের ঘাঁটি বানাচ্ছে’।
স্মরণকালের বর্বরোচিত অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করে এখন আবার সেইসব রোহিঙ্গাদের জমি দখল করে ঘাঁটি বানাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী! নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মিয়ানমারের রাখাইন হতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এদিকে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে ফেলার পর সেইসব স্থানে ঘাঁটি তৈরি করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব খবর দিয়েছে। স্যাটেলাইট হতে ধারণ করা ছবি বিশ্লেষণ করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টি বলেছে, যেসব গ্রাম হতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে গেছেন সেসব গ্রামেই ওই রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা জমি এবং ভিটে-বাড়ির উপর ঘাঁটি তৈরি করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
গত জানুয়ারি মাসেই রোহিঙ্গাদের গ্রামে বহু ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া পড়ে থাকা অনেক বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ইতিপূর্বে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও একই ধরনের তথ্য দেয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন মুখপাত্র এই ঘটনাকে ‘সেনাবাহিনী দ্বারা ভূমি গ্রাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। মিয়ানমার সরকার অ্যামনেস্টির অভিযোগ সম্পর্কে অবশ্য কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ হতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে নির্যাতন শুরুর পর হতে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে চলে আসে। এইসব রোহিঙ্গাদের বিগত ৭ মাস ধরে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়াতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এতো বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার। যা বিশ্ববাসীর কাজে একটি নজির।