দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের এক ‘ধূমপায়ী’বন্য হাতিকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। ১০১ সেকেণ্ডের একটি ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া গেছে। দেখুন সেই ভিডিওটি।
এই ধূমপায়ী হাতি নিয়ে দুনিয়া জোড়া আলোচনা শুরু হয়েছে। ১০১ সেকেণ্ডের একটি ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে হাতিটির মুখ থেকে সত্যিই ধোয়া বের হচ্ছে।
এদিকে ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই ভিডিওতে বন্য হাতিটিকে এমন কাজ করতে দেখা গেছে যা কোনো হাতিকে আগে কখনই করতে দেখা যায়নি।
হাতিটির এই ধরনের আচরণ বিস্মিত করেছে বন্যপ্রাণী গবেষকদের। ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটির বিজ্ঞানী ভিনয় কুমার কর্ণাটক রাজ্যের নগরহোল জঙ্গলে কাজে গিয়ে অনেকটা হঠাৎ করে চোখে পড়ে ধূমপান করার দৃশ্যটি। তিনি হাতিটিকে ভিডিও করেন।
জঙ্গলে ক্যামেরা বসানো ছিল বাঘের গতিবিধি ও আচরণের ফুটেজ সংগ্রহের জন্য। সকাল বেলা কাছেই হাতিটিকে দেখে তার ভিডিও করেন কুমার। যাতে দেখা যাচ্ছে যে, জঙ্গলে কেও আগুন ধরিয়েছিল। সেটি নিভে যাওয়ার পর সেখানে তখনও কয়লাগুলো জ্বলছিল।
ভিনয় কুমার বলেছেন, হাতিটি সেই গরম কয়লা তুলে গিলে ফেলছিল বলেই মনে হচ্ছিলো। হাতিটি সুর দিয়ে প্রচুর ছাই ও ধোঁয়া ছাড়ছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো যেনো সে ধূমপান করছে।
বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়, যদিও এই ভিডিওটি ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে তোলা। তবে ওই ভিডিওটি সবেমাত্রই প্রকাশ করা হয়েছে। কুমার বলেছেন, এই ঘটনার যে কতখানি গুরুত্ব রয়েছে সেটি তিনি বুঝতে পারেননি। গবেষকরা অনেক কিছুই আবিষ্কার করতে পারে। তবে হাতির এমন আচরণ মানুষের চোখে এর আগে কখনও ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটি। বিজ্ঞানীরা বলেছেন হাতিটি কেনো এমন করছিলো সে বিষয়ে তারা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নন।
জীববিজ্ঞানী ভারুন গোস্বামী হাতি নিয়ে গবেষণা করেন দীর্ঘদিন যাবত। তিনি বলেছেন, শরীরে উৎপন্ন টক্সিন নিয়ন্ত্রণে কয়লার উপকারিতা রয়েছে সেটি আমরা জানি। হতে পারে হাতিটি সেই কারণেই তাতে আকৃষ্ট হয়েছে। তাছাড়া কয়লা মল নরম করতেও বিশেষ সহায়তা করে। তারপরও বিজ্ঞানীরা মেয়ে হাতিটির এই আচরণের ব্যাখ্যা খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
দেখুন ভিডিওটি