দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা আড়াই হাজার বছরের পুরানো মৃতদেহ উদ্ধার করেছে! এক কফিনে একটি মানবদেহের অবশিষ্টাংশ আবিষ্কার করা হয়। এই কফিনটিকে এতোদিন ধরে খালি কফিন হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিবিসির এক খবরে জানা যায়, ১৫০ বছর পূর্বে উদ্ধার হওয়া ওই কফিন সিডনির বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে রাখা হয়েছিল। এতোদিন কফিনটিতে কেও স্পর্শও করেনি। গত বছর যখন বিজ্ঞানীরা কফিনটি খুললেন, তখন তারা মানুষের পা ও হাড় দেখতে পেলেন। গবেষকরা বলেছেন, কফিনের ভেতরে থাকা অবশিষ্টাংশও ধ্বংস হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কফিনটি উদ্ধার করার সময়ই এর ভেতরে থাকা মানবদেহের অবশিষ্টাংশও ধ্বংস হয়ে যায়।
ওই সংবাদ মাধ্যমটিকে প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. জেমি ফ্র্যাইসার বলেছেন, এতোদিন এটি মানুষের সামনেই আনা হয়নি। তবে এখন এটি মানুষের সামনে আনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন যে, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে এটি এতোদিন পড়ে ছিল। এই কফিনটিতে মানবদেহ আবিষ্কার হওয়ায় আমরা খুব বিস্মিত এবং উচ্ছ্বসিত হয়েছি।
উল্লেখ্য, ১৮৬০ সালে মিশর হতে ৪টি কফিন উদ্ধার করেন সিডনির প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বাকি ৩টি কফিন নিয়ে গবেষণা চলছে বলে জানান জেমি ফ্র্যাইসার। তিনি আরও জানান যে, হয়তো কবর খোরেরা ওই কফিনটি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই ওখানে মাত্র মানবদেহের ১০ শতাংশের মতো অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে ওই কফিনে থাকা অবশিষ্টাংশ সিটি স্ক্যান করেন গবেষকরা। পরে দেখা যায় সেখানে মানবদেহের হাড়, ব্যান্ডেজ এবং পায়ের অংশ নেই।
সংবাদ মাধ্যমকে ড. ফ্র্যাইসার আরও বলেন, রেডিকার্বন পরীক্ষার মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়, ওই ব্যক্তি ৬০০ খ্রিস্টপূর্বে মারা গেছেন। কফিনে থাকা ওই দেহটি কোনো নারীর দেহ বলে মনে হচ্ছে না গবেষকদের। তবে গবেষকরা তাদের গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।