ড্রয়ের হতাশা যেনো ছাড়ছেই না আর্জেন্টিনাকে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ০-০ গোলে ড্রয়ের পর গতকাল ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচেও ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। তাতে অবশ্য প্রয়োজনীয় ১ পয়েন্ট এসে গেছে। বিশ্বকাপে পা রাখতে হলে আরও ২ পয়েন্ট চাই তাদের, সামনে আছেও আর দুই ম্যাচ। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসের পালে বাড়তি হাওয়া লাগিয়েছে স্পেন।
৫-৪-৩ ফরমেশন সাজিয়ে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। মাত্র ৪ মিনিটের মাথাতেই সাফল্য পায় তারা। সার্জিও এগুয়েরো পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। আলেকজান্ডার ডমনিগেজ ডি বক্সের ভেতর ডি মারিয়াকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা।
তবে গোল বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ১৭ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে গোল রক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠিয়ে দেন ইকুয়েডরের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ক্যাস্টিলো। প্রথম অর্ধে এরপর আর কেউ গোলের দেখা পায়নি। বরং একে অপরের আক্রমণ ডি বক্সের আশেপাশে এসে যেনো থেমে যাচ্ছিলো।
অবস্থার পরিবর্তনের জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান আর্জেন্টাইন কোচ সাবেলা। ৬১ মিনিটে এগুয়েরোর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। তবে মাঠে মেসি নিজের ছন্দে ছিলেন না। বেশ কয়েকটি বল বানিয়ে দিতে পারলেও সেগুলো ইকুয়েডরের গোলমুখ খুলতে পারেনি। উপরন্তু ৮৬ মিনিটে মাসচেরানো লাল কার্ড পেলে অল্প কয়েক মিনিটের ভেতর আক্রমণে উঠে আসতে চেষ্টা করে ইকুয়েডর। তবে ১০ জনের দল নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ড্র করে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
তবে রেফারী আর্জেন্টিনা বিরোধী বলেই কীনা, এই ম্যাচে রেফারির কাছ থেকে একটি লাল কার্ড ছাড়াও চারটি হলুদ কার্ড দেখতে হয় আর্জেন্টিনাকে!
অন্যদিকে দিনের অন্য ম্যাচে খেলার মাত্র ১১ মিনিটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হলুদ কার্ড দেখে স্প্যানিয়ার্ড স্ট্রাইকার পেদ্রো। অন্যদিনের চাইতে এই ম্যাচে স্পেনের খেলায় সেই আগের তিকিতাকা ছন্দ ফিরে এসেছিলো। আয়াল্যান্ডের গোলবারে প্রথমার্ধে প্রায় বার ছয়েক ঝাঁপিয়ে পড়লেও গোল পায়নি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে ডেভিড ভিয়াকে উঠিয়ে নামানো হয় রবার্তো সলদাওডোকে, ৬৮ মিনিটে রবার্তো স্পেনকে কাংখিত গোল পাইয়ে দেন। ভ্যালেন্সিয়ার এই স্ট্রাইকার ৩ জন আইরিশ ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে গোলের দেখা পান। ৬৯ মিনিটে জাভিকে উঠিয়ে জুয়ান মাতাকে মাঠে নামান কোচ দেল বস্ক। ৮৮ মিনিটে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে। এই জয়ের ফলে শুরু হতে যাওয়া কনফেডারেশন কাপের আগে নিজেদের ফিরে পেলো স্পেন এবং পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের পথেও এক পা বাড়িয়ে দিয়ে রাখলো।