দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাকাশ নিয়ে গবেষকদের গবেষণার যেনো শেষ নেই। মানুষের ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য মহাকাশে এবার স্থাপিত হচ্ছে ভাসমান হোটেল!
এবার সত্যিই শূন্যের উপর ভাসবে হোটেল। মহাকাশে এমন একটি হোটেলে রাত কাটিয়ে আসতে পারবেন যে কেও। তবে পকেটের জোর থাকতে হবে। হাউসটনের ‘অরিয়ন স্পেস’ নামে একটি সংস্থা এমন একটি হোটেল তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এটি নির্মাণ করা হলে এটাই হবে বিশ্বের প্রথম মহাকাশ হোটেল।
কোলকাতা টুয়েন্টিফোরের এক খবরে বলা হয়েছে, ২৫X১৪ ফুটের ওই হোটেলের নাম হবে ‘অরোরা স্টেশন’। খুব বেশি দেরিও নেই। ২০২১ সালের মধ্যে চালু হবে ওই হোটেলটি। মাত্র ১২ দিনের মধ্যে পুরো পৃথিবী ঘুরিয়ে আনা হবে যাত্রীদের। চার জন থাকতে পারবেন ওই হোটেলটিতে, সেইসঙ্গে দু’জন ক্রু মেম্বার। এই আ্যাডভেঞ্চারের জন্য একেক জন যাত্রীকে গুণতে হবে ৯৫ লক্ষ মার্কিন ডলার! ভালো ভাবে বলতে গেলে ৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৬৬ ডলার প্রতি রাতে খরচ করতে হবে এই হোটেলে থাকতে হলে। অনলাইনে সিট বুকিং করতে গেলেই দিতে হবে ৮০ হাজার ডলার। তবে ওই টাকাটি অবশ্য ফেরৎযোগ্য।
তবে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক সপ্তাহেই মহাকাশে যাওয়ার এই খরচ কমছে। সেইজন্যই এতো কম টাকায় মহাকাশে নিয়ে যেতে পারছে অরিয়ন স্পেস নামে ওই সংস্থাটি।
ওই অ্যাডভেঞ্চারে কী কী করা যাবে সেই বিষয়ে বলা হয়েছে, শুধু হোটেলে থাকার বিলাসিতা তা নয়। সঙ্গে থাকবে আরও অনেক অনেক মজার বিষয়। প্রথমত মাধ্যাকর্ষণের বাইরে ভেসে থাকার মজা নেওয়া যাবে। আপনার শহর, গ্রাম বা দেশকে মহাকাশ হতে দেখতে কেমন লাগে সেটা দেখতে পারবেন। মহাকাশে বসে খাদ্য উৎপাদন করার মতো রিসার্চেও অংশ নিতে পারবেন এর যাত্রীরা। আবার পৃথিবীতে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে কথাও বলা যাবে!
কিন্তু শুধু বুকিং দিলেই হবে না। বুকিং দেওয়ার পর এই হোটেলে থাকার আগে অন্তত ৩ মাসের ট্রেনিং দেওয়া হবে। অনলাইনে শুরু হবে সেই প্রক্রিয়াটি। যারা মহাকাশ নিয়ে বেশি উৎসাহী, কেবলমাত্র তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।