দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চাকরী পরীক্ষায় বসতে হলে লিখতে হবে জাত! এমন একটি বিদঘুটে ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে ভারতে। সেখানকার চাকরী প্রার্থীদের মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় জাত লেখার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
কর্মেই মানুষের পরিচয়। কর্ম ফলই একজন মানুষকে তার সম্পর্কে জানাবে সেটিই স্বাভাবিক বিষয়। তাছাড়া চাকরির যোগ্যতা কখনও জাত হতে পারে না। শিক্ষার মাধ্যমে যে কেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করবে এটিই সাধারণ নিয়ম হওয়া উচিৎ। তবে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে ভারতের একটি রাজ্যে।
সেখানে কনস্টেবল নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষার সময় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই শরীরে নিজের জাত লিখতে হয়েছে! তারপরই তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হয়। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে।
পরীক্ষার আগেই এমন আজব নির্দেশ জারি করে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ধর জেলার একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যে কারণে পরীক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে নিজেদের শরীরে তফসিলি জাতি, উপজাতি, আদিবাসী, সাধারণ লিখে পরীক্ষা দিতে আসেন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত রবিবার ওই হাসপাতালে মধ্যপ্রদেশ সরকারের কনস্টেবল নিয়োগের জন্য পরীক্ষার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। সেই পরীক্ষায় তফসিলি জাতি, উপজাতি, আদিবাসী ও সাধারণ পরীক্ষার্থীদের যাতে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়, সে কারণে পরীক্ষার্থীদের শরীরে জাত লেখার নির্দেশ দিয়েছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের তরফ হতে জানানো হয় যে, গত বছর এই পরীক্ষার সময় ভুল হয়ে যায়। যে কারণে এবার সেই ভুল এড়াতেই পরীক্ষার্থীদের শরীরে নিজেদের জাত লিখে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে এমন একটি বিদঘুটে ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার পুলিশ সুপার বীরেন্দ্র সিংহ বলেছেন, এটা অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।