দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের অনেকের জানা নাও থাকতে পারে রোযা কার উপর ফরজ নয়। এই বিষয়ে কোরআন হাদিসের কিছু নির্দেশনা রয়েছে। আজ আমরা সেই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করবো।
আমাদের অনেকের জানা নাও থাকতে পারে রোযা কার উপর ফরজ নয়। আজ আমরা সেই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হবে।
যাদের উপর সিয়াম ফরয নয় :
অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক
অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের উপর সিয়াম ফরজ নয়। তবে অভ্যাস গড়ার জন্য রোযা পালনে আদেশ করা যাবে।
পাগল
প্রাপ্ত বয়স্ক পাগলের উপর সিয়াম ফরয নয়। তার জন্য রোযা করিয়ে নেয়ারও কোনো প্রয়োজন নেই, অনুরূপ বিধান যার জ্ঞান লোপ পেয়েছে ও যার অতি মাত্রায় মতিভ্রম হওয়ার কারণে ভালো-মন্দ তারতম্য করতে পারে না।
অপারগ ব্যক্তি
স্থায়ী সামর্থ্যহীন যেমন অতিশয় বৃদ্ধ বা এমন রোগে আক্রান্ত যার আরোগ্য লাভের আর কোনো আশা নেই, এরূপ ব্যক্তির প্রতি সিয়াম ফরয নয়। তবে রমযানের প্রত্যেক দিনের জন্য একজন মিসকিনকে তারজন্য খাবার দিতে হবে।
অসুস্থ
অস্থায়ীভাবে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে রোযা রাখা খুব কঠিন হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোযা রাখবে না, তবে সুস্থ হওয়ার পর কাযা করতে হবে।
গর্ভবতী বা দুধ পান করায় এমন মহিলা
গর্ভ-ধারণ কিংবা সন্তানকে দুধপান করানোর কারণে যদি তাদের প্রতি রোযা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, বা স্বীয় সন্তানের অনিষ্টের আশঙ্কা করে তবে রোযা না রেখে যখন আশঙ্কা মুক্ত হবে তখন সুবিধা মতো সময় রোযা কাযা করে নিবে। মাসিক ঋতু স্রাব বা সন্তান প্রসবজনিত স্রাব হলে উক্ত অবস্থায় রোযা না রেখে, তা দূর হলে পরে কাযা করে দিতে হবে।
নিরুপায়
এমন কোনো ব্যক্তি যে রোযা ছেড়ে দিতে বাধ্য, যেমন কোনো ছোট বাচ্চা পানিতে ডুবে গেছে বা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে তাকে মুক্ত করার জন্য রোযা ছেড়ে দিতে হলে দেবে। তবে পরবর্তীতে কাযা করে নেবে।
মুসাফির
মুসাফিরদের জন্য সফরে রোযা রাখা, না রাখার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে, তবে যদি না রাখে পরে কাযা করে নেবে। উল্লেখ্য, মুসাফির ইচ্ছা করলে যতোদিন সফরে থাকবে, (উক্ত সফর স্বল্পস্থায়ী হোক বা অস্থায়ী হোক) ততোদিন রোযা ছাড়তে পারবে।
কাফের
ইসলাম গ্রহণের পূর্বে অর্থাৎ কাফেরের উপর সিয়াম ফরয নয়। তার জন্য ইসলাম গ্রহণের পর কাযা করাও জরুরি নয়।