দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখে মনে হতে পারে বনের মধ্যে কোনো কারণে হয়তো এই উড়োজাহাজটি এসে পড়েছে। কিন্তু তা নয়, এটি এখন একটি আবাসিক হোটেল!
পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত কতো কিই না ঘটে যাচ্ছে। ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার অনেক খবরই আমাদের অজানা থাকে। আমরা জানতেও পারিনা কি ঘটে যাচ্ছে পৃথিবীময়।
এই উড়োজাহাজটি দেখে মনে হতে পারে বনের মধ্যে কোনো কারণে হয়তো এই উড়োজাহাজটি এসে পড়েছে বা দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিলো। কিন্তু তা নয়, এটি এখন একটি আবাসিক হোটেল!
আমরা সবাই জানি যেকোনো উড়োজাহাজ অবতরণের পর যাত্রীরা নেমে যার যার গন্তব্যে চলে যান। এটিই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু সেই উড়োজাহাজ যদি হয়ে ওঠে হোটেল তাহলে কেমন হবে একবার ভাবুন! এমন একটি অন্যরকম থাকার স্থান তৈরি হয়েছে পশ্চিম ফ্রান্সের ল্যঁ য়ঁ ভিলেজ নামক স্থানে। ভ্রমণপিপাসুরা চাইলেই হোটেল হিসেবে বেছে নিতে পারেন এই উড়োজাহাজটি।
বাণিজ্যিকভাবে ফ্লাইট হিসেবে ব্যবহৃত পুরনো একটি উড়োজাহাজকে রূপান্তর করা হয়েছে আবাসিক হোটেলে। এতে একসঙ্গে ৪ জন মানুষের শোবার জায়গা রয়েছে। এই বিশেষ হোটেলটিতে প্রতি রাতের ভাড়া ৮০ পাউন্ড (৮ হাজার ৬০০ টাকা)।
বাইরে হতে উড়োজাহাজের মতো দেখালেও এর ভেতরে দেখা যাবে অন্য এক চিত্র। একটি ডাবল বেড, দুটি সিঙ্গেল বেড, একটি টেবিল, চেয়ার, পরিপূর্ণ রান্নাঘর এবং বাথরুম রয়েছে এতে। অবশ্য উড়োজাহাজের যথারিতি ককপিট অক্ষুণ্ন রয়েছে। কিন্তু পাইলটদের একটির আসনকে বসানো হয়েছে টয়লেট।
পুরনো এই উড়োজাহাজটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, কক্ষ গরম করার মতো পদ্ধতি, উষ্ণ পানি ও পোশাক শুকানোর ড্রায়ার থাকার কারণে বাসাবাড়ির আমেজও পাওয়া যাবে এই ব্যতিক্রমি আবাসিক হোটেলে।
এয়ারবিএনবি হতে পর্যটকরা এই হোটেলটি ভাড়া নিতে পারেন। এতে পাঁচতারকা সমৃদ্ধ অনেক রিভিউ রয়েছে। এগুলো হতে জানা যায়, কাছেই সুপারমার্কেট হতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সুযোগও রয়েছে।
উড়োজাহাজের বাইরে কাঠের ব্যালকনিতে রোদ পোহানোর জন্য চেয়ার-টেবিলও রয়েছে। রোদ্দুর উপভোগের পাশাপাশি চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশও অতিথিদের মুগ্ধ করবে তাতে সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের এই একই গ্রামে ১৯২০ দশকের একটি ট্রেনের বগিকে আবাসিক হোটেলে রূপান্তর করা হয়েছে। এতে একসঙ্গে ১২ জন ভ্রমণপ্রেমী থাকতে পারবেন বলে ডেইলি মেইলের এক খবরে জানা যায়।