দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছু কিছু মাকড়সা অত্যন্ত বিষধর হয়ে থাকে। এইসব মাকড়সার কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঘটে। আমরা সিনেমাতে এইসব মাকড়সা দেখেছি। তবে এবার বাস্তবে শোনা গেলো বিষধর এক মাকড়সার কথা।
বিশ্বে বিভিন্ন সময় বিষধর মাকড়সার কথা শোনা যায়। সে সব মাকড়সার বিষক্রিয়ার কথাও প্রচলন রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব বিষক্রিয়া কতোখানি ভয়ংকর হতে পারে তা আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। কিন্তু মাঝে মাধ্যেই এই বিষধর মাকড়সার কাহিনী আমাদের সামনে উঠে আসে। কারণ কিছু কিছু মাকড়সা অত্যন্ত বিষধর হয়ে থাকে। এইসব মাকড়সার কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঘটে। আমরা সিনেমাতে এইসব মাকড়সা দেখেছি। তবে এবার বাস্তবে শোনা গেলো বিষধর এক মাকড়সার কথা। যেটি ৩০ বছর আগে নাকি দেখা গিয়েছিলো। তাহলে ৩০ বছর আগের সেই প্রজাতির মাকড়সাটি আবার জনসমক্ষে কীভাবে উঠে এলো? সেই প্রশ্ন উঠে আসছে। তাহলে কী রয়েছে এই বিষাক্ত মাকড়সাটির ভেতর?
আর কিছু না মাত্র একটা কামড়। তারপর শুরু হয়ে যাবে শ্বাসকষ্ট, বমি, গোটা শরীরে ব্যাথা। ঠিক সময় চিকিৎসা না করালেই বড় বিপদ অর্থাৎ মৃত্যুও ঘটতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর মাকড়সা উদ্ধারের পর বর্তমানে ঘাম ছুটে গেছে প্রাণী বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্ল্যাক উইডো স্পাইডারের এক বিশেষ প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। ফিন্ডা বটন স্পাইডার বলে অধিক পরিচিত এই মাকড়সাটি। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ব্ল্যাক উইডো স্পাইডারের প্রজাতি উদ্ধার হয়েছিল এর ঠিক ৩০ বছর পূর্বে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এই ফিন্ডা বটন স্পাইডারের বিষক্রিয়ার ক্ষমতা সাধারণ ব্ল্যাক উইডো স্পাইডারের থেকেও বহুগুণ বেশি! এটি কামড়ানোর পর সঠিক সময়ে হাসপাতালে না নিয়ে গেলে বড় বিপত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। অর্থাৎ মৃত্যু তখন অনিবার্য হয়ে যাবে।
শরীরের উপরের অংশে বিশেষ লাল রং’র একটি দাগের কারণে এই মাকড়সাটিকে খুব সহজেই চেনা যায়। বর্তমানে দীর্ঘদিন পর সন্ধান পাওয়া এই মাকড়সাটিকে নিয়ে পরীক্ষা চালাবেন গবেষকরা। এটির বিষক্রিয়া কতোটুকু এবং এর বয়স কতো ইত্যাদি নানা তথ্য হয়তো বেরিয়ে আসবে গবেষণার পর। তাই সবাই তাকিয়ে আছেন গবেষকদের দিকে। তাদের গবেষণা শেষ হলেই বোঝা যাবে এই ব্ল্যাক উইডো স্পাইডারের প্রজাতিটি আসলে কতোখানি ভয়ংকর।