দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিয়ের একটা নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে সেটি আমাদের জানা। কিন্তু সেই সময়ের আগেই যদি কেও বিয়ে করে তাহলে সেটিকে বেআইনী কাজ হিসেবেই দেখা হয়। তবুও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছেলেরা ১৫ বছরের আগেই বিয়ে করে ফেলছে!
ইউনিসেফের এক সমীক্ষা জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৫ বছর বয়সের আগেই ছেলেরা বিয়ের পিঁড়িতে বসে। সমীক্ষা আরও বলছে যে, ৫ শিশুর মধ্যে ১ জন বাল্য বিয়ের শিকার হয়ে থাকে। এমনকি গোটা বিশ্বে ১১৫ মিলিয়ন ছেলে এবং ব্যক্তি ছোট বেলাতেই বিয়ে সেরে ফেলেছে।
সম্প্রতি ৪২টি দেশের মধ্যে বাল্য বিয়ে নিয়ে গবেষণা করে ইউনিসেফ। লাটিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপত্যকার দেশগুলিতে এই সমীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষার পর সমীক্ষার প্রাপ্ত রিপোর্টে এমনটিই বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে ইউনিসেফের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনিরিটা জানিয়েছেন যে, বড়দেরই এই বিষয়ে বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাদের সচেতনতার অভাবেই ঘটে চলেছে অনেক কিছুই। যা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা একটি রাষ্ট্রের কখনও থাকতে পারে না। বাল্য বিয়ের জেরে খুব কম বয়সেই বাবার মতো গুরু দায়িত্বে কাঁধে চেপে বসছে তাদের উপর। পরিবারকে বাঁচাতে অল্প বয়সেই কর্মক্ষেত্র খোঁজা শুরু করতে হয় ওই সব শিশুদের। তবে শিক্ষার অভাবে সেই হারে নিজের ইচ্ছা মতো কাজও শুরু করতে পারেন না তারা। যে কারণে বাড়ছে বেকারত্ব ও সেই বেকারত্বের কারণে সমাজে নানা অপকর্ম যেমন চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানির মতো ঘটনাও বাড়ছে।
দারিদ্র ও প্রত্যন্ত এলাকায় অশিক্ষার কারণেই বাল্য বিয়ের মতো মারাত্মক সামাজিক প্রথা এখনও রয়েছে বর্তমান বিশ্বেও। এটি কঠোরভাবে রোধ করতে না পারলে বিশ্বজুড়ে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।