দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ খৃস্টাব্দ, ৪ শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ১৬ জ্বিলক্বদ ১৪৪০ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে দৃশ্যটি আপনারা দেখছেন সেটি ভারতের মক্কা মসজিদ। এটি ভারতের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। মক্কা মসজিদ ভারতের বৃহৎ ও প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ।
এই মসজিদটি ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদ জেলায় অবস্থিত। এই মসজিদটি পুরাতন হায়দ্রাবাদ শহরের একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে দেখা হয়ে থাকে, যার অতি সন্নিকটে ঐতিহ্যবাহী চৌমহল্লা, লাদ বাজার এবং চারমিনার অবস্থিত।
এই মসজিদের ইতিহাসে দেখা যায়, মোহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ, যিনি কুতব শাহী সাম্রাজ্যের পঞ্চম শাসক ছিলেন, তিনিই এই মসজিদ স্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই মসজিদটির মূল ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট দ্বারা করা হয় সৌদি আরবের মক্কা হতে আনা মাটি থেকে, যা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্রতম স্থান। তাই এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে “মক্কা মসজিদ”। এই মসজিদটি শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত।
মক্কা মসজিদটি “মোহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ” শাসনামলে নির্মাণ করা হয়। যিনি গোলকন্দা (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ)-এর ৫ম শাসক ছিলেন। মসজিদটির সম্মুখের খিলানগুলোর নক্সাগুলো এক একটি গ্রানাইটের টুকরা দ্বারা নির্মিত, যা নির্মাণ করতে ৫ বছর সময় অতিবাহিত হয়। এই মসজিদটি নির্মাণে ৫০০০ শ্রমিক অংশ গ্রহণ করে। “মোহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ” ব্যক্তিগতভাবে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে “মুঘল বাদশাহ আওরঙ্গজেব” হায়দ্রাবাদ জয়ের পর এই মসজিদের নির্মাণকাজ সমাপ্ত করেছিলেন।
তথ্যসূত্র: https://bn.wikipedia.org