দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথায় বলে ক্ষুধার রাজ্যে সবকিছুই যেনো গদ্যময়। ক্ষুধার জন্য মানুষ সব কিছুই করে। যেমনটি করছেন একটি এলাকার মানুষ। ক্ষুধার জ্বালা মিটাতে তারা খাচ্ছেন ‘মাটির বিস্কুট’!
কথায় বলে ক্ষুধার রাজ্যে সবকিছুই যেনো গদ্যময়। ক্ষুধার জন্য মানুষ সব কিছুই করে। যেমনটি করছেন একটি এলাকার মানুষ। ক্ষুধার জ্বালা মিটাতে তারা খাচ্ছেন ‘মাটির বিস্কুট’!
ছোটবেলায় বহু খাবার নষ্ট করেছেন অথচ গুরুজনের ধিক্কার জুটেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই বলতে হবে। তবে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের তো এমন কথা শুনতে হয়েছে যে, ‘পাচ্ছিস যখন খেয়ে নে, অনেকেই তো পায় না।
আপনি কী সেই হিসাব জানেন? পৃথিবীর কতো মানুষ না খেয়ে রয়েছে!’ আমরা অনেক সময় অনেক কথা ‘বলার জন্য বলি’। কিন্তু গুরুজনদের এই কথা নিখাঁদ সত্য। প্রমাণ দেওয়া যাবে মধ্য আমেরিকার দেশ ‘হাইতি’র দিকে তাকালে। সেখানে খাবার জুটে না, তাই সেখানকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মাটির তৈরি বিস্কুট খেয়ে ক্ষুধা মেটাতে বাধ্য হয়!
উল্লেখ্য যে, হাইতির অর্থনৈতিক অব্স্থা খুবই খারাপ। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ দিনে ২ ডলারের কম আয় দিয়েই জীবন চালাচ্ছে। যা দিয়ে, ভরপেট খাওয়াও হয় না তাদের। যে কারণে ‘মাটির বিস্কুট’ সেখানে বহুল প্রচলিত একটি খাবার। যদিও চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন যে, এসব বিস্কুট খাওয়ার কারণে সেখানকার মানুষের অপুষ্টিজনিত রোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং হবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা? জীবন এখানে এক নিষ্ঠুর এবং নির্মমতার শিকার। ক্ষুধা পেটে পূর্ণিমার চাঁদকেও নাকি ঝলসানো রুটি মনে হয় মানুষের কাছে, আর এ-তো মাটির বিস্কুট।
তবে এই বিস্কুট বানানোরও কিছু কায়দা কানুন রয়েছে। এই বিস্কুট বানানোর প্রসেসও রয়েছে! বিস্কুট বানানোর জন্য প্রথমে মাটিকে পানি দিয়ে নরম করে তাতে লবণ মেশানো হয়। পরে এটি খামি বানানো হয়। সেটি হালকা ভেজিটেবল ওয়েল মাখিয়ে তা রোদে শুকানো হয়। শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়ার পর সেই মাটির বিস্কুটই পরম তৃপ্তি সহকারে খায় সব বয়সী মানুষ! এভাবেই কাটছে দেশটির মানুষের জীবন। ক্ষুধার কাছে যেনো সবকিছুই অসহায়। এই ক্ষুধার জন্য মানুষ পারে না এমন কিছু করতে। মানুষ ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে চুরি-ডাকাতি ছিনতাইসহ আরও অনেক কিছুই করে থাকে। তাই মানুষ ক্ষুধার জ্বালাই যদি মাটির বিস্কুট খাই তাহলে সেটিও এক ধরনের বাস্তবতা।